ঢাকা: চলতি বছর বৈদেশিক মুদ্রা (রেমিট্যান্স) অর্জনে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। যার পরিমাণ প্রায় এক হাজার একশ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্স অর্জনে বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে ভারত। চলতি বছর বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটি প্রায় পাঁচ হাজার ৫শ’ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। চীন, মেক্সিকো এবং ফিলিপাইনও রেমিট্যান্স অর্জনে এগিয়ে রয়েছে।
ফ্যাক্টবুকে আরও বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২০০৯ সালে কমে ৩০ হাজার ৭শ’ কোটি ডলারে (৩০৭ বিলিয়ন) দাঁড়ালেও ২০১০ সালে দেশগুলো আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। ২০১০ সালে এর পরিমাণ ৩২ হাজার ৫শ’ কোটি ডলার (৩২৫ বিলিয়ন)।
বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান গতিচিত্রের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক আশা করছে, ২০১১ ও ২০১২ সালে এই দেশগুলোতে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ যথাক্রমে ৬.২ ও ৮.১ শতাংশ বাড়তে পারে।
দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে ফ্যাক্টবুকে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা প্রায় ১০.৩ শতাংশ। তবে এই হার ২০১১ এবং ২০১২ সালে যথাক্রমে ৫.১ ও ৬.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ প্রবাসী উপসাগরীয় দেশগুলোতে কাজ করেন। সম্প্রতি উপসাগরীয় এসব দেশে নির্মাণকাজ কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্সের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স অর্জনকারী দেশ ভারত ২০০৯ এবং ২০১০ সালের প্রথম তিন মাসে এই খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করলেও চলতি বছরের শেষ দিকে আবার কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি আশংকাজনকভাবে কমে যায়। ফলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স অর্জনও কমে যায়।
তবে গত কয়েক মাস ধরে জনশক্তি রপ্তানিতে অচলাবস্থা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম নয়মাসে (জুলাই ২০০৯-মার্চ ২০১০) আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭.৩৬ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স আসে। যা ৮শ’ কোটি ডলারেরও বেশি।
উল্লেখ্য, রোববার জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের প্রথম দিন টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরপত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দুই বছরে ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬শ’ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১০