ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রেকর্ড লেনদেনের পর পুঁজিবাজারে দরপতন

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১০
রেকর্ড লেনদেনের পর পুঁজিবাজারে দরপতন

ঢাকাঃ রেকর্ড লেনদেনের পরদিন সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৮১টির দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।


অন্যদিকে এদিন সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৭৭১ দশমিক ৪১ পয়েন্টে নেমে আসে।

বাজারের এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হলেও বাজার বিশ্লেষকরা একে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন। তাদের মতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের উর্ধমুখী থাকার কারণে এই খাতে মূল্য সংশোধন হওয়া জরুরি ছিল। বাজারের এই মূল্য সংশোধন আরো ২/১ দিন থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বাজারের দরপতন সর্ম্পকে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের কারেকশন হওয়া আরো আগে জরুরি ছিল। তবে দেরিতে হলেও এটা হয়েছে। এই সংশোধন আরো ২/১ দিন চললে বাজারের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

তিনি বলেন, গত এক বছরে বাজারে বেশ কিছু নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে । যাদের শেয়ারবাজার সর্ম্পকে কোনো ধারণাই নেই। বাজারের এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য তারাই দায়ী।

অধ্যাপক আবু আহমেদ আরও বলেন, যেহেতু ব্যাংক,বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সবচেয়ে বেশি অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছিল। ফলে এই খাতে আগে মূল্য সংশোধনটা আগে হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএসইর সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাংলানিউজকে বলেন, ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ার পর ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাভ তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিনিয়োগকারীদের এই মুর্হুতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ যাওয়া উচিত।

সোমবার ডিএসই লেনদেন হওয়া ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৮টির, ২১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির এবং ৪৪টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪১ এবং খাদ্য খাতের ১৩টির মধ্যে সব কয়টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। দিনশেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি  ৬১  লাখ ৮৩৫ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ৫৩৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা কম।    

লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো - তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো লিঃ, এবি ব্যাংক, ইউসিবিএল, সাউথইস্ট ব্যাংক লিঃ, সিটি ব্যাংক লিঃ, প্রাইম ব্যাংক লিঃ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিঃ, ইসলামী ব্যাংক লিঃ, ও শাইনপুকুর হোল্ডিংস্ লিঃ।

স্থানীয় সময়ঃ ১৭১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।