ঢাকা : সপ্তাহের শেষ দিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। সে সঙ্গে কমেছে আর্থিক লেনদেন, বাজার মূলধন ও সব সূচক।
এদিন ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল, টেলিকমিউনিকেশন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।
বাজারের এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। সে সঙ্গে বাজারে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- বাজারে আরও মূল্য কারেকশন হতে পারে। যদিও এ ধরনের গুজবের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাজার বিশ্লেষকরা একে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, ডিসেম্বর মাসে বাজার ওঠানামার মধ্যে থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই মুহূর্তে অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১০ কোটি ৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৬৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ২৭৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা কম। সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৩.৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১০৮.১১ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৮টির, কমেছে ১৭২টির এবং ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, তিতাস গ্যাস লিঃ, প্রাইম ব্যাংক লিঃ, গ্রামীণ ফোন, সাউথইস্ট ব্যাংক, ইউসিবিএল লিঃ, বেক্সিমকো লিঃ, ম্যাকসন স্পিনিং, এবি ব্যাংক লিঃ, ও পূবালী ব্যাংক লিঃ।
অন্যদিকে দর বাড়া প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- মুন্নু স্টাফলার, প্রগতি ইন্সুরেন্স, ফার্মা এইড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিঃ, প্রাইম ব্যাংক লিঃ, লিব্রা ইনফিউশনস্, ১ম প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড, প্রাইম ১ম আইসিবিএ, পিপলস্ ইন্সুরেন্স ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬৩০ঘন্টা ২২ ডিসেম্বর ২০১০