ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চলতি বছর বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে

সোহেল রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০
চলতি বছর বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে

ঢাকা: গতবছরে (২০০৯) দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমলেও এ বছর বেড়েছে। এ বছরের (২০১০) প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) দেশে এফডিআই এসেছে ৫৭ কোটি আট লাখ ডলার।

যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ২১ কোটি ২৮ লাখ ডলার বেশি।

গত বছর একই সময়ে এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। তবে সার্বিকভাবে গত বছর এফডিআই এসেছে ৭০ কোটি দুই লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম ছয় মাসে ইপিজেডসমূহে এফডিআই এসেছে ছয় কোটি ৯১ লাখ ডলার এবং ইপিজেড বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানসমূহে এসেছে ৫০ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

খাতওয়ারী হিসাবে সবচেয়ে বেশি এফডিআই এসেছে টেলিযোগাযোগ খাতে। এ খাতে বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ৩৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে টেক্সটাইল ও ব্যাংকিং খাত। এ দুই খাতে এফডিআই এসেছে যথাক্রমে আট কোটি ৩৩ লাখ ডলার ও পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

জ্বালানী খাত তথা গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাত রয়েছে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে। এরমধ্যে গ্যাস খাতে দুই কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার ও বিদ্যুৎ খাতে এক কোটি ৭৭ লাখ ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে।
 
অন্যান্যের মধ্যে সিমেন্ট খাতে ৯১ লাখ, কৃষি ও মৎস্য খাতে ৪১ লাখ ৮০ হাজার, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২৯ লাখ ৬০ হাজার, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ১৯ লাখ ৮০ হাজার এবং চামড়া শিল্প খাতে ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার এফডিআই এসেছে।
 
‘ইউনাইটেড নেশন্স কন্ফারেন্স অন্ ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আঙ্কটাড)-এর ২০০৯ সালের বিশ¡ বিনিয়োগ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে বাংলাদেশে এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ ছিল একশ’ আট কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ২০০৯ সালে তা নেমে আসে ৭০ কোটি দুই লাখ ডলারে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রায় ৩৮ কোটি ৬১ লাখ ডলার কমে যায়।
 
আঙ্কটাড প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার জন্য বিশ¡মন্দার প্রভাব এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটসহ অবকাঠামোর অপ্রতুলতাকে দায়ী করে বলা হয়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায়ও এফডিআই প্রবাহ কমেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে বিশ¡মন্দা। তবে বাংলাদেশে বিশ¡মন্দাজনিত সংকটের পাশাপাশি ছিল গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট।
 
এদিকে আঙ্কটাড-এর প্রতিবেদনের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নয় বিনিয়োগ বোর্ড। বোর্ডের মতে, ২০০৮ সালের চেয়ে ২০০৯ সালে এফডিআই প্রবাহ কম হলেও দণি এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।

পাশাপাশি দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অবকাঠামো সমস্যা নয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকেই বড় বাধা বলে মনে করছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

তাদের মতে, আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করা দরকার। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এমন অনেক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যা অনায়াসে বাদ দেওয়া যেতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।