ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

হঠাৎই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা কমে গেছে

আসাদ জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০
হঠাৎই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা কমে গেছে

ঢাকা: হঠাৎ করে লাগামহীন বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম আবার হঠাৎ করেই কমে গেছে।

দুই দিনের ব্যবধানে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাজারে পুরাতন ও নতুন পেঁয়াজ যথাক্রমে ৪০ ও ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ ও ৬০ টাকা বিক্রি হয়।

শনিবার সেই পেঁয়াজ আবার ৪০ ও ৫০ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে গত ৩ দিন পেয়াজের ঝাঁঝ ক্রেতা সাধারণের মধ্যে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, শনিবার তা কেটে গেছে অনেকটাই।

এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারে ক্রেতা ইমরান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘পেঁয়াজের অস্বাভাকি দাম বাড়াতে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। দাম কমায় আজ একটু স্বস্তি পাচ্ছি। ’

একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের আড়তদার মনসুর আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে সারাদেশে থেকে গত দুইদিনে ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ কারওয়ান বাজারে এসেছে। দাম আরও বাড়তে পারে মনে করে আমরাও চড়া দামে পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু মজুদের তুলনায় চাহিদা কম থাকায় ও রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কেজি প্রতি ২০/২২ টাকা লোকসানে এখন পেঁয়াজ ছেড়ে দিতে হচ্ছে। ’

নতুন পেঁয়াজ ওঠার কারণে আগামী কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে বলেও মন্তব্য করেন এই আড়তদার।

তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও একই সময় বেড়ে যাওয়া চালের দাম আগের জায়গায় রয়েছে। দাম বেড়ে গত সপ্তাহের চেয়ে বস্তাপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি রয়েছে। কারওয়ান বাজারের সুরভী রাইস এজেন্সির বিক্রেতা মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘নতুন মাঝারি ধানের চাল ৩৫/৩৭ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ’

এদিকে সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। আদা, রসুন, আলু ও শাকসবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯০, পাম তেল ৮৬ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে। রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। ভারতীয় রসুন ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আদার দাম কিছুটা বেড়েছে। মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা।

শনিবার ডাল  মোটা ৮০, দেশি ১০০ ও ক্যাঙ্গারু ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৪  টাকায়। মুরগি ব্রয়লার ১২০ টাকা ও লেয়ার ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস ২৬০,  খাসির মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০ ও ছাগলের মাংস ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের সবজির দামই কমের দিকে। তবে বাজারভেদে সবজির দরে কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। কাচাঁমরিচ ৩০-৪০, বেগুন ৩০-৩৫,  পটল ২৬, ঢেঁড়স ৪০, করলা ৫০, কচুর ছড়া ৪০, সিম ৩০, শশা ৩০, চিচিঙ্গা ৪০,  টমেটো ৩৫, পেঁপে ১০, মুুলা ১২, গাজর ২৪ টাকা কেজি।

তবে গত দুই দিনের তুলনায় আলুর দাম বেশ কিছুটা কমেছে। পুরাতন আলু ১৮ থেকে ১৪ টাকায় নেমে এসেছে, নতুন আলু ২০ থেকে নেমে এসেছে ১৬ টাকায়। ফুলকপি ২০, বাঁধাকপি ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে সব কিছুর দাম পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে অনেক বেশি। পাইকারি বাজারে পুরাতন পেঁয়াজ ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য পণ্যের ক্ষেত্রেও ঘটছে একই ঘটনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad