ঢাকা: ঢাকার পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সাধারণ মূলকসূচক ২১৩ পয়েন্ট পড়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের স্টাফ করেসন্ডেন্ট গোলাম সামদানী জানান, ৩টায় লেনদেন শেষ হলে ব্যাপক দরপতনের প্রতিবাদে কয়েক শ’ সাধারণ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এসময় তারা পুরনো ইত্তেফাক ভবন থেকে শাপলা চত্বর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বেশক’টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছেন। তারা হলেন, আলী আকবর, ফয়সল, মোবারাক, মামুন, মাহমুদ, বাদশাহ ও মিলন। একজনের নাম জানা যায়নি।
আটককৃতদের মধ্যে মাহমুদ নামে একজন বিনিয়োগকারী নিজেকে ঝিনাইদহ আসনের সাংসদ শফিকুল হকের পিএস বলে দাবি করেছেন।
মতিঝিল জোনের এডিসি আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুর, জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করায় এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে অংশ নেওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। ’
অবশ্য সাধারণ নাগরিকদের কোনো প্রকার নাযেহাল করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর পরই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় অনেক সাধারণ মানুষ পালাতে গিয়েও আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিনের লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়ে শুরু হলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই বেশিরভাগ শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করে। লেনদেন শেষে সাধারণ সূচক ২১৩ পয়েন্ট কমে যায়। মোট লেনদেনকৃত শেয়ারের মধ্যে ২৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিকেল সাড়ে ৪টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১১