ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগরতলায় শিল্প-বাণিজ্যমেলা শুরু

চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১
চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

ভারতের ত্রিপুরায় গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দশ দিনব্যাপী ২১তম শিল্প-বাণিজ্য মেলা। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এই মেলার আয়োজন করেছে।

মেলা শেষ হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি।

আগরতলার চিলড্রেন পার্কে (শিশু উদ্যান) আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (আইবিসিসিআই) সভাপতি ও নিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ।

বাংলাদেশের ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও মেলায় যোগ দেন।

মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৮৫টি শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্টল রয়েছে ১৪টি।

এ ছাড়াও মেলায় অংশ নিয়েছে চীন ও মালয়েশিয়ার কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্য ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, আসাম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান, তামিলনাড়–, বিহার ও কাশ্মিরের মোট ৩০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।

আরও অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এ মেলায় স্টল চেয়ে ছিল বলে জানান মেলার আয়োজকরা। কিন্তু স্থানের অভাবে তাদের স্টল বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেল যোগাযোগ, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ, আগরতলা পর্যন্ত ব্রডগ্রেজের সম্ভাবনা এবং আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে রাজ্যে শিল্পের অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে রাজ্যে একটি শিল্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য বাড়লেও অভ্যন্তরিণ বাজারে শিল্প বাড়ছে না। বাইরের শিল্পপতিরা শিল্প-কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখালেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সাহস নিয়ে এগিয়ে আসছেন না। এতে নানা রকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বাইরের শিল্পপতিরা এগিয়েও এসেও আবার পিছিয়ে যাচ্ছেন। ’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘রাজ্য-সরকার বসে নেই। প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিক অবকাঠামোর ওপর জোর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে শুধু সরকারের একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। রাজ্যের অগ্রগতির জন্য শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যেতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা টাকা ব্যাংকে রেখে সুদ পাচ্ছেন, শিল্প করলে আরও বেশি লাভ হবে। একটু ঝুঁকি বাড়বে। কিন্তু সাহস করে এগিয়ে এলে যেমন লাভ পাবেন তেমনি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেও বাঁচবে বেকার মানুষ। নূতন উদ্যোক্তারাও শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ পাবেন। ’

আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ সুন্দরভাবে রাজ্য পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। খুব তাড়াতাড়ি আগরতলা-ঢাকা-কলকাতার মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিল্পমন্ত্রীসহ অতিথিরা মেলা ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশ সময় ১৮৩০, জানুয়ারি ৩০,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।