ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবৈধভাবে প্লেসমেন্ট শেয়ার লেনদেনকারী দুই প্রতারক আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০

ঢাকাঃ বিভিন্ন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের সদস্য নবীউল্লাহ নবী ওরফে শফিউল আলম নবী এবং সাত্তারুজ্জামান শামীম নামে দু’জনকে আটক করে র‌্যাব।

এই দু’জন দীর্ঘদিন ধরে গ্রিন বাংলা গ্রুপের অফিস থেকে ১৩টির মতো কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বরাদ্দের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

এদের গ্রেপ্তারের পর বৃহম্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ জানান, প্লেসমেন্ট নিয়ে প্রতারণা বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই কমিশন সচেষ্ট ছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসইসি’র ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগ একটি প্রতারকচক্রের সন্ধান পায়। চক্রটি বিভিন্ন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বরাদ্দের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন। তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি আইপিও’র জন্য আবেদন করেনিÑ এমন ১৩টি কোম্পানির প্লেমমেন্ট শেয়ার বরাদ্দের নামেও টাকা আদায় করে আসছিলেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে এসইসি’র নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। প্রতারকদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি এসইসি র‌্যাব-৩ এর কর্মকর্তাদের জানায়। এর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় গ্রিন বাংলা গ্রুপের অফিসে অভিযান চালায়। তারা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয়দানকারী নবীউল্লাহ নবী ওরফে শফিউল আলম নবী এবং পরিচালক সাত্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতাকরদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এসইসি কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি এবং তাদের সহযোগীরা ১৩টি কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বরাদ্দ করার কথা বলে শতাধিক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি তালিকাভুক্ত হলেও বাকিগুলো শেয়ার বিক্রির জন্য এসইসিতে কোনো আবেদনই করেনি। এমনকি প্রতারকরা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দের জন্যও টাকা নিয়েছে। তারা জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও প্রতারকচক্র বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মোট কতো টাকা সংগ্রহ করেছেÑ সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এসইসি কাজ করে যাচ্ছে।

এসইসি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা এই প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে তাদের অর্থকড়ি খুইয়েছেন তারা র‌্যাব অথবা এসইসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

স্থানীয় সময়ঃ ২০৪১ ঘন্টা ১৫ জুলাই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।