ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ব্রিটিশ বিনিয়োগ পেতে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১
‘ব্রিটিশ বিনিয়োগ পেতে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে’

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার নিক লো বলেছেন, ব্রিটিশ বিনিয়োগ পেতে হলে বাংলাদেশের প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ হতে হবে।

সোমবার চট্টগ্রামে ‘ইউকে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বিল্ডিং বাইলেটারেল ট্রেড রিলেশনশিপ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।



বৈঠকটির আয়োজন করে যৌথভাবে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্য্ন্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই) এবং ব্রিটিশ হাইকমিশন।

 নিক লো বলেন, বিপুল সংখ্যক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বাংলাদেশে পোশাক শিল্প, সিরামিক, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। কিন্তু এজন্য বাংলাদেশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনকে আরও জবাবিদিহিমূলক, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।

এরই মধ্যে এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আরো অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, দিনে দিনে বাংলাদেশ একটি বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ঢাকার বাইরের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।

এ সময় তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সেনাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ, পোশাক শিল্প এবং ক্রিকেটহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আট শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।

এ সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে এখন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলো ভারতের জায়গা দখল করে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

 এ খাতে বাংলাদেশের আরও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলেও জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
ব্রিটিশ সরকার টিউশন ফি বাড়ানোর ফলে তা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান নিক লো।

তবে টিউশন ফি বাড়ানোর ফলে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বেশ কিছু ছাত্র-আন্দোলনের কথা বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

নিক লো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রিটেন সফরের ফলে দু’ দেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সর্ম্পক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তার এ সফরকে যৌথ উন্নয়ন অংশিদারিত্বের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ’

বৈঠকে ইউকে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের কার্যক্রমের পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন সংস্থার পরিচালক কেভিন রিংহ্যাম।
 
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে চেম্বারের সিনিয়ন সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম, পরিচালক ক্যাপ্টেন শফি চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক তসলিমউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সহায়তা ছাড়াও বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং বাংলাদেশের সমুদ্রপথে যোগাযোগের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ থেকে জাহাজ ক্রয় এবং আবাসন খাতে দুই দেশের একটি যৌথ তহবিল গঠনেরও আহ্বান জানান তারা।

বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ এবং এ খাতের উন্নয়নে ব্রিটেনের সহযোগিতাও কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।