ঢাকা: সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আগামীকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবে। সভায় মার্জিন লোনের বর্তমান সীমা ১:২ পদ্ধতি প্রত্যাহার করা হতে পারে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট এক বিশ্বস্ত সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ লিস্টেড কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশন’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, এসইসি মার্জিন লোনের ব্যাপারে আর ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বা পরিমার্জন করবে না- এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই আগামীকালের সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এখন থেকে কমিশন বছরে একবার বা দু’বার মার্জিন লোনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। আর মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কত পরিমাণ লোন দিবে তা প্রত্যেক হাউসকে প্রতি মাসের শুরুতে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসইসিকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
প্রতিমাসে একবার করে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো মার্জিন লোন বাড়াতে বা কমাতে পারবে। হাউসগুলো ইচ্ছা করলে মার্জিন লোন কোনও কায়েন্টকে কম বা বেশি দিতে পারবে।
মার্জিন লোন নিয়ে এসইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এসইসি গত এক বছরে মার্জিন লোনের পরিমাণ ১২ বার পরিবর্তন করে। এরপর বাজারের সর্বকালের রেকর্ড ধসের পর বাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিনিধির দাবির মুখে এসইসি এ সিদ্ধন্ত নিতে যাচ্ছে।
২০১০ সালের জুলাই মাসে এসইসি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারদের সব মার্জিন লোনযোগ্য কোম্পানির মার্জিন লোন ১:১ হিসেবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এসইসি মার্জিন লোন পরিমাণ ১:১ থেকে বাড়িয়ে ১:৫ করে এবং পিইও রেশিও ৭৫ থেকে কমিয়ে ৫০ এ নামিয়ে আনে।
এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দু’দিন পরে এসইসি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে মার্জিন লোনের পরিমাণ ১:১.৫ থেকে কমিয়ে ১:১ নিয়ে আসে।
একই বছর ১৫ মার্চ এসইসি অবার লোনের পরিমাণ বাড়িয়ে ১:১.৫ করে। পরে ২৩ মার্চ এনএভি ও মার্কেট প্রাইস যোগ করে মার্জিন লোন ১:১.৫ কার্যকর করতে রুল জারি করে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি এসইসি মাজিন লোনের পরিমাণ ১:১.৫ থেকে বাড়িয়ে ১:২ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১