ঢাকা: দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি বছর পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান।
তিনি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামোতে গ্রেডিং নির্ধারণে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি তা সংশোধনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘তৈরি পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি: বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ ও এগিয়ে চলা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকটির আয়োজন করে মাল্টি স্টেকহোল্ডার ফোরাম বাংলাদেশ ফর গার্মেন্টস (এমএফবি)।
মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, যেসব তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা এখনও নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় মজুরি বাড়ানোর পরও কেন এ শিল্পে অসন্তুষ্টি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম, বিজিএমইএ’র সভাপতি সালাম মুর্শেদী, নারী নেত্রী শিরিন আখতার ও বিকেএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান।
ইসরাফিল আলম বলেন, শ্রমিকদের জন্য মালিক এবং সরকারের উদ্যোগে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। শুধু চাল নয়, সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য স্বল্প মূল্যে দিতে হবে। শ্রমিকদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে খাস জমি মালিকদের নামে বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
সালাম মুর্শেদী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার কারণে অধিকাংশ কারখানা লোকসানে চলছে। তারপরও সরকার ঘোষিত মজুরি আমরা মেনে নিয়েছি।
৯০ শতাংশ কারখানা ঋণের মধ্যে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অথচ দেশের অর্থনীতিতে এ শিল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি। এমনকি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের ৬০ শতাংশই যাচ্ছে এইশিল্প থেকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১