ঢাকা : শেয়ার বাজারে অবৈধ প্লেসমেন্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-৩ একটি প্রতিষ্ঠানের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছেন রামপুরার গ্রিন বাংলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নবীউল্লাহ নবী ও পরিচালক সাত্তারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আটক করা হয় বলে র্যাব-৩ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। আটককৃতদের র্যাব-৩ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে আটককৃতদের নিয়ে আরও বড় ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনা আছে জানিয়ে এই মুহূর্তে কোনো তথ্য জানানো যাবে না বলে জানিয়েছে র্যাব।
রামপুরার বনশ্রীতে গ্রিন বাংলা গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয় বলে জানায় সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) সূত্র। এসইসি ও র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে আটককৃতদের হাতে ১৩টি কোম্পানির অবৈধ প্লেসমেন্ট শেয়ার রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসইসি’তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান এসইসি’র নির্বাহি পরিচালক ফরহাদ আহমেদ ও এটিএম তারেকুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে এসইসির কর্মকর্তারা জানান, বেশকিছুদিন ধরে একটি কোম্পানির নামে অবৈধ প্লেসমেন্ট ব্যবসার অভিযোগের ভিত্তিতে এসইসি প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায়, বনশ্রীতে গ্রিন বাংলা গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে কিছু প্রতারক এ ব্যবসা করছে। এ কোম্পানির সঙ্গে সংশিষ্টরা পুঁজিবাজারে শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে বিভিন্ন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনার অফার দেয়। ওই প্রতারক চক্রের সদস্যদের হাতে পুঁজিবাজারে লিস্টেড ও নন লিস্টেড বিভিন্ন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার রয়েছে। এছাড়া গ্রিন বাংলা গ্রুপের অধীনে আরো অন্তত ১০০ সদস্য রয়েছে বলে এসইসি জানতে পেরেছে। আটককৃতরাও বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে কমিশন জানিয়েছে।
অবৈধ প্লেসমেন্টের বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের পর গত ১৪ জুলাই র্যাব-৩ এর সহযোগিতা চায় এসইসি। আজ র্যবের সহযোগিতায় রামপুরার বনশ্রীতে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে হয়।
তবে এ ঘটনায় ব্রোকারেজ হাউজের অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তদন্তের স্বার্থে এখনই এসইসি তাদের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এছাড়া ওই কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনে যদি কেউ প্রতারণার স্বীকার হয়ে থাকেন তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবিলম্বে এসইসি অথবা র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে এসইসি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ২২৫০ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই, ২০১০