ঢাকা: নতুন অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে ১৯ জুলাই (সোমবার)। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের এটা হবে তৃতীয় দফা মুদ্রানীতি ঘোষণা।
মুদ্রানীতি প্রণয়ণের আগে এবারই প্রথম দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, সরকারের বাজেট বাস্তবায়নে সহায়ক হিসেবেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
ছয় মাস মেয়াদী নতুন এই মুদ্রানীতিতে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ছয়টি বিষয়কে। বিষয়গুলো হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, কাক্সিত প্রবৃদ্ধি অর্জন, উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ তথা ঋণপ্রবাহ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মুদ্রা সরবরাহ ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা।
এছাড়া বিশ^ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বদেশি কৌশল নির্ধারণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকঋণের ওপর সরকারের নির্ভরতা কমিয়ে আনা এবং অভ্যন্তরীণ বাজার তদারকির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, মুদ্রানীতিতে গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ও কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষিঋণ ও এসএমই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং এগুলো মনিটরিং করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
নতুন মুদ্রানীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৬.৭ এবং মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশ হবে বলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যমান মুদ্রানীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ এবং গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশ হবে বলে ধরা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১০