ঢাকা : বড় ধরনের দরপতনের কারণে গত দুই কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ৫৮৯ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪০৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭১৯ দশমিক ০৪ পয়েন্টে নেমে আসে।
এদিন সাধারণ সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হওয়ায় বাজার মূলধন ১৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। এ নিয়ে গত দুই কার্যদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ১৯ হাজার ৮১২ কোটি টাকা।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। মাত্র দুই কার্যদিবসের ব্যবধানে রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকায় নেমে আসে।
রোববার সূচক, বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭০৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কম। দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ২৩৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪ টির।
রোববার ডিএসইতে একদিনের ইতিহাসে ৫ম সর্বোচ্চ দরপতন হলো। এর আগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ডিএসইতে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৩৫ পয়েন্ট সাধারণ মূল্যসূচক কমে যায়। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সূচকের পতন। সূচকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন হয় ৯ জানুয়ারি ৬০০ পয়েন্ট। তৃতীয় সর্বোচ্চ পতন হয় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ৫৫১ পয়েন্ট, চতুর্থ সর্বোচ্চ পতন হয় গত ৮ ডিসেম্বর ৫৪৭ পয়েন্ট। ষষ্ঠ সর্বোচ্চ পতন হয় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ২৮৪ পয়েন্ট, ৭ম সর্বোচ্চ পতন হয় চলতি বছরের ১৯ জানুযারি ২৩৭ পয়েন্ট। প্রতিটি দরপতনেই বাজারে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ইউসিবিএল, গ্রামীণ ফোন, ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, বেক্সিমকো লিঃ, তিতাস গ্যাস, এবি ব্যাংক লিঃ, প্রাইম ব্যাংক লিঃ, পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিঃ, বে-লিজিং ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিঃ।
বাংলাদেশের সময় : ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১১