ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিঙ্গাইরের চাষীরা এবার গাজর বেচে আয় করবেন ৪কোটি টাকা

আশরাফুল আলম লিটন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১
সিঙ্গাইরের চাষীরা এবার গাজর বেচে আয় করবেন ৪কোটি টাকা

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় এবার গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর স্থানীয় কৃষকরা গাজর বিক্রি করে প্রায় ৪ কোটি টাকা আয় করবেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

   

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সিংগাইর উপজেলায় ১২শ’ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে গাজর চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে গড়ে ৩২ মেট্রিক টন। এবছর সিংগাইর উপজেলায় উৎপাদিত গাজরের পরিমাণ হবে ৩৮ হাজার থেকে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।   আর এসব গাজর বিক্রি করে সিংগাইরের কৃষকদের আয় হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ গাজরই এখানে চাষ হয়ে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব গাজর সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, জেলার সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ, খড়ারচর, লক্ষ্মীপুর, কাংশাচর, ভাকুম, দিয়ারা, দুর্গাপুর, আজিমপুর, দশানি, কিটিংচর, কমলনগর, কামুড়া, ভাটিরচর, ধল্লা, বায়রাসহ বিভিন্ন এলাকচ্ছ্ব্যাপ হারে গাজরের চাষ হচ্ছে।  

তিনি জানান, সিঙ্গাইরে গাজর চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দিন দিন গাজরের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিংগাইরের প্রতিটি গ্রাম এখন গাজর গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। এই এলাকার গাজর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়া জানান, বিঘাপ্রতি গাজর চাষে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর একবিঘা জমির গাজর বাজারে বিক্রি হয় ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। তিনি এবছর  প্রায় ৬৫ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছেন বলে জানান।

তিনি জানান, গাজর বিক্রির পাশাপাশি গাজরের পাতা গো-খাদ্য হিসেবে ভালো দামে বিক্রি হয়। বড় সাইজের এক গাইট গাজরের পাতা ৪০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে।

তবে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আর হিমাগারের অভাবে কৃষকরা তিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। যার কারণে লাভের বিরাট একটা অংশ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এসে বলেছিলেন, গাজর চাষীদের শতকরা ২ টাকা হার সুদে ঋণ দেওয়া হবে। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও তারা এই সুবিধা এখনও পাননি।

তবে ঋণ দেওয়া না হলেও গভর্নরের ঘোষণার পর জয়মন্টপ এলাকায় একটি কৃষি ব্যাংকের শাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।