দিনাজপুর: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আখ মাড়াই ও বেশি সময় নিয়েও চলতি ২০১০-১১ মৌসুমেও চিনি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ চিনিকল।
এ মৌসুমে ৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের ল্যমাত্রা থাকলেও চিনিকলটি উৎপাদন করেছে ৪ হাজার ৪৩৩ মেট্রিকটন।
উল্লেখ্য গত ২০০৯-২০১০ মৌসুমেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি চিনিকলটি।
তবে দেশের অন্যান্য চিনিকলগুলোর চেয়ে চিনিকলটির উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে দবি করেছে সেতাবগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
চলতি ২০১০-২০১১ মৌসুমে ৩ ডিসেম্বর সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড ৬৬ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের ল্যমাত্রা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। মিলটি চলার কথা ছিল ৬০ দিন এবং গড় রিকোভারী ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
শনিবার এ মৌসুমের আখ মাড়াইয়ের শেষ দিনে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ মিলটি ৬৮ হাজার ২৪৭ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করেছে ৪ হাজার ৪৩৩ মেট্রিকটন। মিল চলেছে ৬৫ দিন। গড় রিকোভারী ছিল ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এ ব্যাপারে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল রফিক বাংলানিউজকে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে চলতি মৌসুমে এ মিলটির আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আখ মাড়াই বন্ধ হলেও সোমবার পর্যন্ত চিনি উৎপাদন চলেছে। শেষ পর্যন্ত মিলটির উৎপাদন ৪হাজার ৫৪০ মেট্রিকটন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, চিনি উৎপাদনের ল্যমাত্রা সাধারণত রিকোভারীর উপর নির্ভর করে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রিকোভারী কিছুটা কম হলেও তা দেশের অন্যান্য চিনি কলের তুলনায় ভালো। সারাদেশে গড় রিকোভারী কম হয়েছে ১.৩ ভাগ সেখানে সেতাবগঞ্জ চিনিকলে রিকোভারী কমের পরিমাণ ০.৮ ভাগ।
উল্লেখ্য, রিকোভারী হচ্ছে প্রতি মে. টন আখ মাড়াই করে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয়। অর্থ্যাৎ ১০০ টন আখ মাড়াই করে যদি ৮ টন চিনি উৎপাদন করা হয় তাহলে মিলের রিকোভারী ধরা হবে ৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ২০০৯-১০ মৌসুমে মিলটি ৪৩ হাজার ৫৭৮ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে। চিনি উৎপাদনের ল্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১শ’ ২৪ মেট্রিকটন। উৎপাদিত হয়েছি ৩হাজার ২শ’ ২৯ মেট্রিকটন। গড় রিকোভারী ছিল ৭.৩৯ শতাংশ।
এছাড়াও চিনিকলটি ১৯৮৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর নতুনভাবে চালু হওয়ার পর ৮৯-৯০ ও ৯৪-৯৫ মৌসুমে ছাড়া আর লাভের মুখ দেখে নাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১১।