ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: সোমবার অর্থনীতিবিদ প্যানেলের বৈঠক

সোহেল রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১০
৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: সোমবার অর্থনীতিবিদ প্যানেলের বৈঠক

ঢাকা: ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া নিয়ে অর্থনীতিবিদ প্যানেলের বৈঠক আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্যানেল অব ইকনোমিস্ট-এর চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।



জানা গেছে, ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০১৫ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে উন্নীত করার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সম্পদ আহরণ ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুপারিশ রয়েছে।

এছাড়া, ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার ল্য নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন পরিকল্পনায়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি হিসেবে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশের বেশি।
 
এছাড়াও নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে জিডিপির ৩০ শতাংশে উন্নীত করার ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমানে এ বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৪ শতাংশ।

২০১৫ সালে জিডিপিতে কৃষিখাতের ১৬ শতাংশ, শিল্পখাতের ৩০ শতাংশ ও সেবাখাতের ৫৪ শতাংশ অংশীদারিত্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
উল্লেখ্য, এবার ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ (পিআরআই)। সংস্থার পক্ষ থেকে চলতি মাসের ৭ তারিখে সরকারের কাছে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়ার রূপরেখা জমা দেওয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালায় (পিপিপি) একক পরামর্শক নিয়োগ পদ্ধতির আওতায় এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ণে সরকার পিআরআই-কে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সূত্রে জানা যায়, পিআরআই-এর প্রাথমিক খসড়া ও অর্থনীতিবিদ প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল খসড়া প্রণয়ন করবে জিইডি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

জিইডি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ভৌত অবকাঠামো খাতকে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি, পরিবেশ, বেসরকারি বিনিয়োগ ইত্যাদিও যথেষ্ট গুরুত্ব  পাবে।

ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব উন্নয়ন পরিকল্পনাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল পাঁচসালা পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব খাতের উন্নয়ন করা হবে বলে সূত্র জানায়।

প্রসঙ্গত, মতায় আসার পর বর্তমান সরকার দাতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রণীত ‘দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র’ (পিআরএসপি)-এর পরিবর্তে আগের মতো পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এবারের পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। অন্যদিকে দ্বিতীয় পিআরএসপি’র মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ৩০ জুন।
 
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬২০ ঘন্টা, ১৭ জুলাই, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।