ঢাকা : আওয়ামী লীগ এলেই শেয়ারবাজারে ধস নামে এটা কিছুটা ঠিক বলে মন্তব্য করেছেন অর্তমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এলেই শেয়ারবাজারে ধস নামে এটা কিছুটা ঠিক।
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সুলতানা বুলবুলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাপিরাই চান না শেয়ারবাজার চাঙ্গা হোক। ’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য সরকারের সময় শেয়ারবাজার ঠিকমতো কাজ করেনি বলে ঋণ খেলাপির সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য অনেকেই চান শেয়ারবাজার যেমন আছে তেমন পড়ে থাক। ’
যখন শেয়ারবাজার কার্যকর ছিল না, তখন অনেক ঋণ খেলাপি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা কোনো ক্ষতি সহ্য করতে চান না। শেয়ারবাজার অতিমূল্যায়িত হলে এর পতন হবে। ’
শেয়ারবাজার নিয়ে চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারের বিষয়টি ধরুন, পুঁজিবাজার বাড়ল, কমল। দিন শেষে আবার চার শ’ পয়েন্ট বাড়ল। কিন্তু এর মাঝে আমার পদত্যাগ চাওয়া হলো। বাজারের গুজব রটে গেল- আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছি। এর পেছনে চক্রান্ত আছে। বেনামী বিনিয়োগকারীদের আমরা কিছুটা ধরতে পারব। ’
চিপ হুইপ আব্দুস শহীদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুকবিল্ডিং মেথড চালু করেছি। তা কিছুটা কাজ করেনি। আইনে প্রতারণা ধরার তেমন কোনো কৌশল নেই। এজন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। ’
নওগাঁ-৪ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের আয় থেকে গত ২০০৯-১০ অর্থ বছেরে ২৭ হাজার ১৯২ দশমিক মার্কিন ডলার (১ লাখ ৮৮ হাজার ১ শ ১৯ দশমিক ৮৮ কোটি) বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া সেবা, বৈদেশিক বিনিয়োগ আয়, বৈদেশিক অনুদান ও বৈদেশিক ঋণ থেকে গত অর্থ বছরে ৪ হাজার ৭ শ’ ৪০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩২ হাজার ৭ শ’ ৯৫ দশমিক ৬৭টি কোটি টাকা) বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, বিদেশি অর্থ আহরণের উৎসগুলো হলো রপ্তানি আয়, প্রবাসীদের আয়, বৈদেশিক সেবা, বৈদেশিক বিনিয়োগ আয়, বৈদেশিক অনুদান, বৈদেশিক ঋণ।
বিদেশী অর্থ আহরণের উৎসগুলোকে আরও বেগবান করার জন্য সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
প্রবাসীদের কল্যাণে সরকার কী ধরনের কাজ করছে?, এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ‘প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য সরকার বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে থাকে। স্টক মার্কেটে তাদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ কোটা। এছাড়া বিদেশ থেকে ফেরার পর যখন সমস্যার সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে কর্মসংস্থানের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা আবার বিদেশ যেতে চাইলে এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, তারা দেশে বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন। এ জন্য প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য এনআরবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করছি। একই সঙ্গে প্রবাসীদের অনুরোধ করব, আপনারা নিজেরাও অর্থ বিনিয়োগের জন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১