ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমি লিজ নিয়েছেন অনেকেই

আফ্রিকায় চাষাবাদে আগ্রহী অর্ধশত বাংলাদেশি

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১
আফ্রিকায় চাষাবাদে আগ্রহী অর্ধশত বাংলাদেশি

ঢাকা: আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষি জমি চাষের কাজে বিনিয়োগে আগ্রহী বাংলাদেশের অর্ধশত ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেছেন।

এরই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনও তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার বাংলানিউজের কাছে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘আফ্রিকার গাম্বিয়া, তানজানিয়া, ঘানা, সেনেগাল, লাইবেরিয়া, আইভরিকোস্ট, কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পতিত জমি এরই মধ্যে বাংলাদেশি কয়েকজন বিনিয়োগকারী লিজ নিয়েছেন। ’

তিনি বলেন, ‘তারা সেখানকার জমি চাষ করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। ’

বিনিয়োগকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পররাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চিঠি দেওয়া হয় বলে সূত্র জানায়।

এ প্রসঙ্গে মহাপরিচালক জানান, আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদের সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি রয়েছে। সেখানে কোকো, কফি, তুলা, চালসহ বিভিন্ন ধরনের ফল সেখানে চাষ সহজেই করা যেতে পারে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার অনুসন্ধান, জনশক্তি রপ্তানি ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং মিশন রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সেখানে জমি চাষ করতে সরকার টু সরকার বা ব্যক্তি টু ব্যক্তি কী ধরনের চুক্তি করা যায় তা আমরা ভেবে দেখছি। ’

আফ্রিকায় জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী এম হায়দারউজ্জামান।

তিনি বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে আফ্রিকার চারটি দেশে এক লাখ হেক্টর জমি লিজ নিয়েছি। ’

হায়দারউজ্জামান বলেন, ‘আমি গাম্বিয়ায় ৩০ হাজার হেক্টর, তানজানিয়ায় ৩০ হাজার হেক্টর, ঘানায় ৩০ হাজার হেক্টর এবং কেনিয়ায় ১০ হাজার হেক্টর জমি লিজ নিয়েছি। ’

ওই জমি চাষাবাদে আর্থিক ও আইনী সহযোগিতার জন্য তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন বলেও জানান।  

পশ্চিম আফ্রিকার জমিতে বাংলাদেশের চাষাবাদ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস এর আগে বলেন, ‘ওই দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণ উর্বর কৃষি জমি রয়েছে। আমাদের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী এদের অনেকগুলো দেশ কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় আমাদের জমি দেবে। ’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে জমি চাষের উপযোগী কৃষক ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেখানে গিয়ে চাষাবাদ করবেন। এর বিনিময়ে অর্ধেক ফসল আমরা পেতে পারি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad