ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি

দুই সপ্তাহে ৬২ কোম্পানিকে নোটিশ

জেবুন নেসা আলো, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১
দুই সপ্তাহে ৬২ কোম্পানিকে নোটিশ

ঢাকা : পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠার সুযোগে কোনো কোম্পানি যেন অতিমূল্যায়িত না হয়, এজন্য অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি চিহ্নিত করে নোটিশ দিচ্ছে ডিএসই।



গত দুই সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৬২টি কোম্পানিকে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোনো কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়লে তা তদন্ত করে ডিএসই। এজন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওই কোম্পানিকে দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়।

কোম্পানি কোনো তথ্য জানাতে না পারলে ডিএসই তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শেয়ার অতিমূল্যায়িত হওয়ার যেন সুযোগ না পায়, সে জন্য ডিএসই এ তদন্তের অস্ত্র ব্যবহার করে।

তবে বরাবরই নোটিশ দিয়ে ডিএসই নিষ্ক্রিয় ছিল। উর্ধ্বগতির বাজারে ডিএসই দৈনন্দিন কর্মকা- হিসেবে প্রতিদিনই দু’একটি কোম্পানিকে নোটিশ দিয়েছে। তবে পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি।

বরং নোটিশ দেওয়ার পর ওই কোম্পানির শেয়ার দর আরও বাড়তে দেখা গেছে। ফলে ডিএসইর এ নোটিশ সমালোচনার মুখে পড়ে।

ধসের বাজারে ডিএসই নোটিশ দেওয়ার এ দৈনন্দিন কর্মকা- বন্ধ রাখলেও সম্প্রতি তা আবার শুরু করেছে।

গত দুই সপ্তাহের অধিকাংশ দিন সূচকের উর্ধ্বগতি ছিল। পাশাপাশি অধিকাংশ শেয়ারের দরও বাড়তে শুরু করে। বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ডিএসইও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন কোম্পানিকে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির জন্য নোটিশ দিতে শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই সপ্তাহে ৬২টি কোম্পানিকে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে দায়সারা নোটিশ দিয়েছে। কোম্পানিগুলোও বরাবরের মতোই দর বৃদ্ধির কারণ নেই বলে জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিএসইর প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, ‘অস্বাভাবিক দর বিষয় পেলে কোম্পানিকে নোটিশ দেওয়া ডিএসইর দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের অংশ। শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লে কোম্পানিকে নোটিশ দেওয়ার পর ডিএসই তদন্তে নামে। ’

তদন্তের প্রথম ধাপ হিসেবে এ কোম্পানিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি নজরদারি না করলে আগের মতো আবারও শেয়ার অতিমূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ পাবে। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য কোম্পানিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, নোটিশ দেওয়া ৬২ কোম্পানির মধ্যে গত ২০ মার্চ ১৩ কোম্পানিকে নোটিশ দেয় ডিএসই। এগুলো হলো- এগুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, পদ্মা অয়েল, বিজিআইসি, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সিএমসি কামাল, সোনালী আঁশ, চিটাগাং ভেজিটেবল, রেনেটা ও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স।

২১ মার্চ ৭ কোম্পানিকে নোটিশ দেওয়া হয়। এগুলো হলো- প্রাইম টেক্সটাইল, এসিআই ফর্মুলেশন, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা কন্ডেন্সন্ড মিল্ক, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ফু-ওয়াং ফুড।

২৩ মার্চ ৪ কোম্পানি সাফকো স্পিনিং, আনলিমা ইয়ার্ন, দেশ গার্মেন্টস ও জিকিউ বলপেনকে নোটিশ দেওয়া হয়।

২৪ মার্চ ৭ কোম্পানি লিব্রা ইনফিউশন, ফার্মা এইড, মিথুন নিটিং, বঙ্গজ, অলটেক্স, দুলামিয়া কটন ও এমবি ফার্মাকে নোটিশ দেওয়া হয়।

২৭ মার্চ ৩ কোম্পানি জেমিনি সি ফুড, সমতা লেদার, স্টাইলক্রাফটকে ২৮ মার্চ বিডি অটোকার ও জুট স্পিনিংকে, ২৯ মার্চ মুন্নু স্টাফলার, মুন্নু জুটেক্স, গোল্ডেন সনকে ৩০ মার্চ উসমানিয়া গ্লাস, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, আজিজ পাইপ, রহিমা ফুড, কে অ্যান্ড কিউ, রহিমা টেক্সটাইল, এ্যাপেক্স ফুড, লাফার্জ সুরমা, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও রেকিট বেঙ্কিজারকে নোটিশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ ৩১ মার্চ ১৩ কোম্পানিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- গ্লাস্কো স্মিথক্লাইন, ন্যাশনাল টি, শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা, রেনউইক জজ্ঞেস্বর, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, এএমসিএল, মুন্নু সিরামিক, এইচআর টেক্সটাইল, কোহিনুর কেমিক্যালস ও ইমাম বাটন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।