ঢাকা: বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণের পরিসর বৃদ্ধি ও সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ৬০ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা দেবে জার্মান সরকার।
‘ইমপ্রুভমেন্ট অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন ইন দ্যা ওয়েস্টার্ন জোন’ প্রকল্পের আওতায় এই আর্থিক সহায়তা দেবে জার্মান।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর শের-ই-বাংলা নগর এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা (কেএফডব্লিউ) এর মধ্যে আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ ও কেএফডব্লিউ’র স্পেশাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লিসা স্টিইনাসির স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পের আওতায় ৬০ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তার মধ্যে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো নমণীয় শর্তে ঋণ এবং ১৫ মিলিয়ন ইউরো অনুদান সহায়তা।
প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি সঞ্চালন ব্যবস্থা ও সাব স্টেশনের উন্নয়নের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৫ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা ও বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণে অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে লিসা স্টিইনাসির বলেন, বিদ্যুৎ যেকোনো দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রসারে এই আর্থিক সহায়তা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রারও অনেক উন্নত হবে। ’
এই সময় তিনি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) সৌর বিদ্যুৎ কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, এই প্রকল্পে ইতোমধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৩০ লাখ বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ২০১৭ সালের মধ্যে নতুন করে আরো ৩০ লাখ বাড়িতে নতুন করে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে এই সংখ্যা ৬০ লাখে উন্নীত করা হবে। এটা অনেক ভালো প্রকল্প। আমরাও এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিতে পেরে খুশি। সৌর বিদ্যুৎ দেশের সেচ ব্যবস্থারও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪