ঢাকা: সামাজিক নিরাপত্তা দয়া নয়, অধিকার। তাই এ নিরাপত্তা বাস্তবায়নে গণতদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
একইসঙ্গে এ খাত সম্পসারণের জন্য পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সামাজিক নিরাপত্তা ও বাজেট’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেসরকারি সংস্থা নাগরিক উদ্যোগ ও পার্টনারশিপ অব উইমেন ইন অ্যাকশন যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেভেলপমেন্ট সিনার্জি ইন্সটিটিউটের গবেষণা পরিচালক মনোয়ার মোস্তফা।
এ মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাধক এম এম আকাশ বলেন, কৃষি ও শিল্প খাতের বিপ্লব ছাড়া দারিদ্র দূরীকরণ সম্ভব নয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি দিয়ে শুধু দারিদ্রকে ম্যানেজ করে রাখা যায়, দূর হয় না।
দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য তিনি জনগণের খাদ্য ও বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি করেন। এজন্য ভর্তুকিযুক্ত রেশন ও খাস জমি দরিদ্রদের দেওয়া যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, সাধারণভাবে সরকার দারিদ্র্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক নিরাপত্তা জাল নামে কিছু সামাজিক সহায়তামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশে বর্তমানে ৮৪ ধরনের এই নিরাপত্তা জাল কর্মসূচি চাল রয়েছে। এর আওতায় রয়েছে মাত্র ১৩ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। অথচ দেশে অতি দরিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ১ শতাংশ।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ২ এপ্রিল, ২০১১