ঢাকা: সুন্দরবনের কাছে শ্যালা নদীর বিকল্প নৌপথ বাগেরহাটের ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বজায় ও অবৈধ বাঁধ অপসারণের জন্য প্রায় সাড়ে সাতশ’ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
গত ৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবিতে সুন্দরবন ও প্রাণিকূলের হুমকির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঘষিয়াখালী চ্যানেল উদ্ধারে এ বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) কর্মসূচির আওতায় ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বজায় ও অবৈধ বাঁধ অপসারণের জন্য ৭৪৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঘষিয়াখালী চ্যানেলের সঙ্গে সংযুক্ত মংলা উপজেলার ১৯টি খাল ও রামপাল উপজেলার ১৩টি খালের সংস্কারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মংলা ও রামপাল উপজেলার নদীগুলোর নাব্যতা সংকট ও অবৈধ বাঁধের কারণে মংলা বন্দরে পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ মোড়লগঞ্জ হয়ে ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে না এসে সুন্দবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে। এতে পণ্য পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সুন্দরবনের সৌন্দর্যহানী ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বজায় রাখা, এ এলাকার জলবদ্ধতা দূরীকরণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে মংলা উপজেলার ১৯টি নদী এবং রামপাল উপজেলার ১৩টি নদী সংস্কারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করার পর ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়। এরপর মন্ত্রণালয় খাদ্যশস্য বরাদ্দ অনুমোদন করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪