ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিদেশি বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫
রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিদেশি বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায় ছবি: কাশেম হারুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে জানিয়েছেন ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (ডিবিসিসিআই) সভাপতি হাসান খালেদ।
 
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসার কথা বলেও আসছেন না। গত এক মাসের অস্থিরতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগে যে ধরনের অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে, তা অতীতে কখনো হয়নি।
 
বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউস্কাটনে অবস্থিত ডিবিসিসিআইয়ের নতুন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডিবিসিসিআইয়ের নতুন পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ ১০০ দিন উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে ডিবিসিসিআইয়ের সভাপতি হাসান খালেদ বলেন, রাজনীতি যারা করেন, তারাও ব্যবসা করেন। ব্যবসা ও রাজনীতি একটি অপরটির বাইরে নয়। কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, গত এক মাসে নেদারল্যান্ডসের চারটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয়, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসেননি। কারণ, সবার আগে জীবন। জীবনের চেয়ে ব্যবসা বড় নয়।
 
এক প্রশ্নের উত্তরে ডিবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসা চলমান একটি প্রক্রিয়া। ১০০ দিনের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায় না। তবে গত চার বছরে আমার (হাসান খালেদ) সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের ২টি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করেছে। তারা প্রথমে ২০১২ সালে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আসেননি। এরপর ২০১৫ সালে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চলমান অস্থিরতার কারণে তা আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
 
রাজনৈতিক দলগুলোকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে হাসান খালেদ বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এতে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
 
বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ১০০ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে ডিবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক কাজ ঠিকমতো করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমার বি২বি (বিজনেস টু বিজনেস) সভা, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথ সেমিনার, ট্রেড ফেয়ার আয়োজনসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
 
তিনি বলেন, সেবাখাত ও শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিএসআর (সামাজিক দায়বদ্ধতা) কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে যেসব ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সম্পর্ক হতে পারে, সে বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।