ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জয়পুরহাটে ৩৬ শ্রমিক সংগঠনের কর্মবিরতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
জয়পুরহাটে ৩৬ শ্রমিক সংগঠনের কর্মবিরতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জয়পুরহাট: দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদে জয়পুরহাট সম্মিলিত শ্রমিক সংগঠনের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ফলে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।



এছাড়াও অবরোধের কারণে কোনো যানবাহন চলাচল না করায় পায়ে হেঁটেই রওয়ানা দিয়েছেন অফিস-আদালত ও নিজ কর্মস্থলগামী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৬টি সংগঠনের আওতাভুক্ত লাখো শ্রমিক এ কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে। দুপুর দুইটা পর্যন্ত তাদের এই কর্মবিরতি চলবে।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ট্রাক ও ট্যাংকলরি, অটোরিকশা, গৃহ নির্মাণ, ভ্যান-রিকশা, লেদ-ওয়েল্ডিং, কাঠ মিস্ত্রি, ইটভাঙা কল্যাণ সমিতি, স্বর্ণ শিল্পী, বেকারি শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, পণ্য পরিবেশক, প্রেস শ্রমিক, সেলুন, পাদুকা, কুলি, দর্জিসহ ৩৬টি রেজিস্ট্রার্ড শ্রমিক সংগঠন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন জেলার সব শ্রেণি পেশার মানুষ।

জয়পুরহাট সম্মিলিত শ্রমিক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ-হরতালে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন কাজে কর্মরত শ্রমিকরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পরিবহন সেক্টরের ১০ হাজার শ্রমিক, সাত হাজার গৃহ নির্মাণ শ্রমিক, আট হাজার চাল কল ও চাতাল শ্রমিক ও অন্যান্য পেশার হাজার হাজার দরিদ্র শ্রমিক। দীর্ঘদিন ধরে কাজ না পেয়ে তারা বেকার হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারকে থাকতে হচ্ছে অনাহারে।

জেলা সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা নন্দলাল পার্শী বাংলানিউজকে জানান, লাগাতার অবরোধ-হরতালের মুখে কাজ জোটাতে না পেরে শ্রমিক-মজুরদের পরিবারে রীতিমতো হাহাকার চলছে। এ বেকার হওয়া শ্রমিকদের অধিকাংশ আবার বিভিন্ন এনজিওর কাছে ঋণের ভারে জর্জড়িত। ফলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেক শ্রমিক হয়েছেন ঘর ছাড়া, আবার অনেকে শেষ সম্বল গরু-ছাগল বিক্রি করে হয়েছেন সর্বশান্ত।

সংগঠনের সভাপতি ও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, অবরোধ-হরতালের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশন এ কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ পালন করছে।

দ্রুত এ রাজনৈতিক সংকট সমাধান করে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের দু’মুঠো অন্ন জোগারের সুযোগ দিতে ২০ দলসহ সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন জয়পুরহাট সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের অন্যতম উপদেষ্টা আ স ম মোক্তাদির তিতাস মোস্তফাসহ অন্যানন্য নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।