ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অটোমোবাইল শিল্পে দীর্ঘ মেয়াদি নীতি সহায়তা চায় ডিসিসিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫
অটোমোবাইল শিল্পে দীর্ঘ মেয়াদি নীতি সহায়তা চায় ডিসিসিআই

ঢাকা: দেশে দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে দীর্ঘ মেয়াদী নীতি সহায়তা চেয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এজন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিল্পমন্ত্রীর কাছে বাজেটে প্রতি বছর শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন না করে দীর্ঘ মেয়াদী শুল্ক ও কর সহায়তার সুপারিশ করা হয়।


 
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ডিসিসিআইর নতুন পরিচালনা পর্ষদ এ সুপারিশ করে। এ সময় শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
 
দাবির প্রেক্ষিতে ডিসিসিআইর নেতাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, অটোমোবাইল শিল্পখাতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে এলে সরকার সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে।
 
মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় গার্মেন্টস শিল্পপার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে সরকার বিএসটিআইর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বেসরকারি পর্যায়ে ইপিজেড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পেলে সরকার তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
 
মন্ত্রী আরও বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজ চলছে। এই সমুদ্রবন্দরের কাজ শেষ হলে দেশীয় শিল্প কারখানার আমদানি ও রফতানি খরচ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।
 
বৈঠকের শুরুতে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দেশীয় শিল্প কারখানাগুলোকে প্রতিদিন শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। এ সময় শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ প্রদান এবং নতুন শিল্প কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
 
শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি ইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন এমন দাবি জানিয়ে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মালিকানায় অনেক জমি রয়েছে। এগুলোতে বেসরকারি ইপিজেড স্থাপন করা গেলে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
 
বৈঠকে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশি শিল্প কারখানার আমদানি ও রফতানি খরচ কমাতে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন জরুরি। এর পাশাপাশি মেধা সম্পদের অধিকার সুরক্ষায় সরকারি উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা মেধাসত্ত্ব আইনের কঠোর প্রয়োগ জোরদার করার তাগিদ দেয়।
 
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি মো. শোয়েব চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মো. সবুর খান, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আসিফ এ চৌধুরী, হোসেন আকতার, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।