ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩০ শতাংশ লোকসান থেকেই যাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫
৩০ শতাংশ লোকসান থেকেই যাবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ ফাইল ফটো

বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শেষদিকে ভিড় বাড়লেও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ উঠে আসবে না। প্রায় প্রত্যেককেই মেলা শেষে ৩০শতাংশ লোকসান গুনতে হবে।


 
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জান্তিক বাণিজ্যমেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টলের মালিকরা এভাবেই বলছিলেন তাদের হতাশার কথা।

তারা বলছেন, মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। শেষ দিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসছেন মেলায়। বিকিকিনিও বেশ জমে উঠেছে। তবে সারা মাসের সার্বিক বেচাকেনা বিবেচনা করলে মেলায় লোকসান থেকেই যাবে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হরতাল-অবরোধের কারণে শুরু থেকেই মেলায় বেচাকেনা কম ছিল। পুরো মাস জুড়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনাও তুলনামূলক কম ছিল।  

ব্যবসায়ীদের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনা করে নির্ধারিত সময় থেকে আরও দশদিন বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই বাড়তি সময়েও ব্যবসায়িক লোকসান ঘোচবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলায় বিনিয়োগ করা টাকার ৭০শতাংশের বেশি উঠে আসবে না।
 
তুর্কিস প্যাভিলিয়নের শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১০দিন সময় বাড়ানোর পরও অর্ধেকের বেশি পণ্য অবিক্রিত রয়েছে। বিগত দিনগুলোর চেয়ে রোববার থেকে বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু এতে লোকসান কমবে না। ৩০ শতাংশ লোকসান থেকেই যাবে।
 
পাকিস্তান প্যাভিলিয়নের তাহের চান্দিওয়াল বলেন,‘উই আর ডাউন! অনলি লস, লস অ্যান্ড লস। মেলা শেষে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হবে।

প্রায় ১০ লাখ টাকার লোকসান হবে বলে আশঙ্কা করছেন এই শাল ব্যবসায়ী।

শুধু বিভিন্ন পণ্য কিংবা তৈজসপত্রের স্টলই নয়, লোকসানের আশঙ্কা করছেন রেস্তোরাঁ ও হোটেল মালিকরাও।

স্টার কাবার অ্যান্ড বিরিয়ানির ম্যানেজার মুরাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন দোকান ভাড়া ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ টাকাই উঠছে না। খুবই খারাপ অবস্থা।

এদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পণ্য বিক্রি করতে মেলায় চলছে ছাড়ের বাহার। নগদ ছাড়, ফ্রি পণ্য দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার সব চেষ্টাই করছেন বিক্রেতারা।
 
মেলায় সবচেয়ে বেশি ছাড় দিচ্ছে ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যেগুলোতে। মোবাইল ফোনে ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে।

আর হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মোটর সাইকেল, এসি ও টিভিতে ৭ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্যে একটি কিনলে দুটি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
 
দেশীয় ব্রান্ডের স্মার্টেক্স প্যাভিলিয়নে টি-শার্ট, গেঞ্জি, শার্ট, প্যান্ট, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, পাঞ্জাবী, ফতুয়াসহ মেয়েদের থ্রি-পিছ, শাড়ি, প্যান্ট, টি-শার্টসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর ৭০ শতাংশ ছাড় চলছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ফ্রেবুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।