ঢাকা: ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারিরা এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি রয়েছে। প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার অভাবে তাদের অবস্থান এখন খুবই খারাপ।
রোববার(১৫ ফেব্রুয়ারি’২০১৫) বেলা ১১টা থেকে চলা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ বৈঠকের আয়োজন করেছে ওয়ার্ল্ডাস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা।
ময়মনসিংহ থেকে আসা সোনালী মুরগির ওপর কাজ করা মুনিরুজ্জামান নামের এক আলোচক বলেন, এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য গ্রামীণ পর্যায়ে যারা বাচ্চা ও মুরগি উৎপাদন এবং বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুদে পোল্ট্রি খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়া খুবই জরুরি। তারা সঠিক উৎপাদন মূল্য পাচ্ছে না।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণ যাদের দেয়া হচ্ছে তারা কিন্তু লাভবান হচ্ছে। ক্ষুদ্র খামারীদের বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া বাজার বিপণন ব্যবস্থার অভাবে ক্ষুদে খামারিদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম সাত্তার মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, পোল্ট্রি খাদ্যের মানের দিকে অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে খামারিদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কোনটা ভেজাল আর কোনটা মান সম্মত সেটা নিজেদেরই ঠিক করতে হবে|।
বক্তারা জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে পোল্ট্রি খাবারও মান সম্মত হতে হবে।
বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫