ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সহিসংতায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫
সহিসংতায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে ছবি: নাজমুল হাসান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজনৈতিক সহিসংতায় বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান হাই কমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে।

রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ক্যানচ্যাম) আয়োজিত ‘শোকেজ কানাডা-২০১৫’ শীর্ষক বাণিজ্য শিক্ষা মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের কানাডিয়ান হাই কমিশনের সহযোগিতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।   

হাই কমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বলেন, রাজনৈতিক সংঘাত সত্যিই অনাকঙ্খিত। দেশব্যাপী চলমান সহিসংতার শেষ হওয়া প্রয়োজন। সবার শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশের সুযোগ থাকা খুবই প্রয়োজন

তিনি বলেন, চলমান সহিংসতায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আমি দেখেছি। তাদের বেশিরভাগই দরিদ্র। এ নিয়ে ‍আমি দুঃখিত ও হতাশ। আশাকরি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্লু  ইকোনমি ও আইটি খাতে কানাডিয়ানদের বিনিয়োগ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় কানাডা বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের সঙ্গে আংশীদারিত্বের মাধ্যমে দু’দেশের সমৃদ্ধি সুরক্ষিত ও দৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি ‍আরও বলেন, রফতানিকারকদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রচুর সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।

লাঘামে বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক দ্রুত বাড়ছে। দু’দেশের মধ্যে মোট পণ্যের বাণিজ্য মূল্য ২০০৪ সালের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০০৪ সালের মোট ৬০৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার থেকে বেড়ে ২০১৪ সালে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারে উপনীত হয়েছে। বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে কানাডায় বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি মূল্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারেরও বেশি ছিল। এর অন্যতম কারণ, বাংলাদেশের সব রফতানি পণ্যেই কানাডা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। এ সময়কালে কানাডা থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসে পরিণত হয়েছে। কানাডা থেকে মূলত গম, মসুরি ডাল, পটাশ সার, তৈলবীজ ও অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য এবং সেই সঙ্গে রোলড স্টিল, টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়।

দুই দিনব্যাপী এ মেলায় বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টলের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা উন্নয়নের সুযোগ, কানাডিয়ান কৃষিখাত, কানাডায় রফতানি, শিক্ষা, তৈরি পোষাক, সবুজায়ন ও তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো ও ই-কমার্স বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়।  

ক্যানচাম বাংলাদেশের সভাপতি মাসুদ রহমান নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কানাডা ও বাংলাদেশি প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দেন।

মেলায় বাংলাদেশ ও ‍কানাডার ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। কানাডা সাসকা চুয়ান ট্রেড ‍অ্যান্ড এক্সপোর্ট পার্টনারশিপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দর মেলায় অংশ নেয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।