ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদেশি সাহায্যের পুরো টাকা খরচের নির্দেশনা পরিকল্পনামন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫
বিদেশি সাহায্যের পুরো টাকা খরচের নির্দেশনা পরিকল্পনামন্ত্রীর আ হ ম মুস্তফা কামাল

ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত বৈদেশিক সাহায্যের পুরোটাই ব্যবহারের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনা দিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সেই সঙ্গে যেসব প্রকল্পে এ অর্থবছরে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হবে না তা আগামী মার্চের মধ্যে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনাও  দেন তিনি।



রোববার(১৫ ফেব্রুয়ারি’২০১৫) সকাল ও বিকেলে প্রায় ৭০০ প্রকল্প পরিচালকদের সাথে দুটি আলাদা আলাদা বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ দুটি বৈঠকে সভাপতিত্বও করেন তিনি।   

মূলত গুণগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্প শেষ করতেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ বিষয়টিকে তুলে ধরে বৈঠকের শুরুতেই পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ কমে আসলে ব্যয়্ও কমে আসবে। এজন্য যে প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিলে এ বছরই শেষ হবে সেসব প্রকল্পগুলোতে আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেব।
 
তবে যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক সাহায্য রয়েছে সেসব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোপুরি ব্যয় করতে পারছেন না উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প অর্থ ব্যয়ে আমরা একটা ধারা দেখছি তা হলো - আমাদের প্রকল্প পরিচালকরা সরকারি অর্থ ব্যয়ে যতটা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন ঠিক ততটাই অস্বস্তিবোধ করেন বরাদ্দকৃত বৈদেশিক অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে
 
এটা কথনোই কাম্য হতে পারে না। আমরা খুব শিগগিরই এ সম্পর্কে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) সাথে নিয়ে একটি কার্যকর পন্থা হাতে নেব।   

প্রকল্প বাস্তবায়ন কিভাবে সময় মতো শেষ কার যায় তার একটি দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের শুরুতেই ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করলে প্রথম তিন মাসেই তা শেষ হবে। এছাড়া অর্থবছরের শুরুতেই সামগ্রিক কর্মপদ্ধতি বিশ্লেষণ করলে সহজে বুঝা যাবে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জটা কোথায়। এ কাজগুলো মাঝপথে শুরু করলে স্বাভাবিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এ সময় প্রকল্প পরিচালকদের ঘন ঘন পরিবর্তন না করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের নির্দেশনা দেন।

সভায় প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, কর্মসংস্থান তৈরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে ঐ প্রকল্পের ভূমিকা কি হবে তা নিশ্চিত হওয়ার পরই তা হাতে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

অপরদিকে, এখন থেকে প্রকল্প পরিচালকদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অথবা একজনকে একাধিক প্রকল্প পরিচালক পদে নিযোগ দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
   
দিনব্যাপী সভায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সফিকুল আজম, আইএমইডি ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. শহিদ উল্লাহ খন্দকারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১ হাজার ২৮৭ টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের সাথে পরিকল্পনা মন্ত্রীর বৈঠকের অংশ হিসেবে আগামী বৈঠকটি এ মাসের ১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।