ঢাকা: কৃষিঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ কৃষকদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা না করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে যেসব মামলা হয়েছে, তা পুনঃতফসিল করে কৃষকদের মামলা থেকে রেহাই দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।
তিনি বলেন, সামান্য ঋণের জন্য প্রায় ২ লাখ কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। যারা গ্রেফতারের ভয়ে পলাতক রয়েছেন।
ডেপুটি গভর্নর বলেন, কৃষিঋণ তামাদি হলে ব্যাংককে সার্টিফিকেট মামলা করতে হয়। আমরা (বাংলাদেশ ব্যাংক) বলেছি এটি চলতে পারে না। প্রয়োজন হলে ঋণ পুনঃতফসিল করে মামলার হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে হবে।
পাশাপাশি যেসব মামলা হয়েছে তা সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে কৃষকদের হয়রানি বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে সামনের দিনে কৃষকদের ঋণ পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুর চৌধুরী।
ভবিষ্যতে যাতে কৃষি ঋণ তামাদি না হয় সেজন্য নজরদারি বাড়ানো ও কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা ভালো করবে তাদেরকে পুরস্কার দেওয়ার পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।
এস কে সুর চৌধুরী আরও বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়’র কারণে যেসব এলাকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ঋণ স্কিমের মাধ্যমে পুনঃতফসিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৫৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। বাকি ৫ মাসে লক্ষ্যমাত্র পূর্ণ হবে বলে আশা করি। এমনকি এটি লক্ষমাত্রার বেশিও হতে পারে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কৃষকরা যে ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কোনো ধরনের সহায়তার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫/আপডেটেড- ১৩৫৬ ঘণ্টা