ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪০ কোটি টাকার মেঘনা নদীর বাম তীর রক্ষা প্রকল্প

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
৪০ কোটি টাকার মেঘনা নদীর বাম তীর রক্ষা প্রকল্প ছবি: (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় মানিকনগর এলাকায় মেঘনা নদীর বাম তীর রক্ষায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(বাপাউবো)। মেঘনা নদীর বাম তীরের মোট ১২ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার এলাকা সংরক্ষণ করা হবে।



‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মানিকনগর এলাকায় মেঘনা নদীর বামতীরে প্রতিরক্ষামূলক কাজ” প্রকল্পের আওতায় এই কাজ করা হবে।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের উপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি(পিইসি)সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত হাট-বাজার, বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রাস্তা, মসজিদ-মাদ্রাসা, ঘর-বাড়ি ও অন্যান্য উপাসনালয়সহ মূল্যবান আবাদী জমি রক্ষায় প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য।

জানুয়ারি ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্প ব্যয়ের ৩৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে।

নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাপাউবো মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গণে প্রকল্প এলাকার মূল্যবাদ আবাদি ফসলী জমি, স্কুল, হাট-বাজার, বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রাস্তা, মসজিদ-মাদ্রাসা, ঘর-বাড়ি ও অন্যান্য উপাসনালয় রক্ষা করা এর অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া আধাপাকা রাস্তা, গাছপালা, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
 
এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য বাপাউবো কারিগরি কমিটির সুপারিশের আলোকে নবীনগর উপজেলায় ১২ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার এলাকা সংরক্ষণের প্রস্তাব করে।
 
কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে, মেঘনা নদীর বাম তীরের শান্তিপুরে ৩৯০ মিটার, বাড়িকান্দিতে ৫১০ মিটার এবং মানিকনগরে ১ হাজার ২৭৫ মিটার রক্ষায় সুপারিশ করা হয়। তবে শান্তিনগর এবং বাড়িকান্দি প্রতিরক্ষার কাজ অন্য প্রকল্পের আওতায় করা হচ্ছে। কিন্তু মানিকনগর এলাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়নি।

তবে এই প্রকল্পের আওতায় মানিকনগর নামক এলাকাটির জনসাধারণ ও তাদের সহায়ক সম্পদকে রক্ষাকল্পে প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে বলে বাপাউবো সূত্র জানায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।