ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কেনা হচ্ছে ১৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
কেনা হচ্ছে ১৮ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল

ঢাকা: চলতি বছরের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ১৮ লাখ মেট্রিক টনের বেশি পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। কুয়েত, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্ক থেকে এ জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।



বুধবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ ক্রয় প্রস্তাব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য দেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর যুগ্মসচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ্যামিরেটস ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানি(সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট মিটেড(ইএনওসি) থেকে মেয়াদি চুক্তির আওতায় প্রতি ব্যারলে ৪ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৯০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসওয়েল,  ২৯ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (কেপিসি) থেকে প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেসওয়েল এবং ৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৯০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসওয়েল আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।  

ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিবি ট্রেডিং থেকে ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারে ৬০ হাজার টন গ্যাসওয়েল ও ২৯ দশমিক ৯৫ ডলারে ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হবে।

মালয়েশিয়ার পেটকো ট্রেডিং লাবুয়ান কোম্পানি থেকে ব্যারেল প্রতি ৪ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলারে ২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিকটন গ্যাসওয়েল, ব্যারেল প্রতি ৫ দশমিক ৫০ ডলারে ৫ হাজার টন কেরোসিন, ৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে ৭০ হাজার মেটিন টন জেটি-১ এবং ২৯ দশমিক ৯ মার্কিন ডলারে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চীনের পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৪ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৯০ হাজার টন গ্যাস অয়েল এবং ২৯ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৪০ হাজার টন ফার্নেস অয়েলসহ মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টন জ্বালানি আনা হবে।

ভিয়েতনামের পেট্রোলিমেক্স কোম্পানি সিঙ্গাপুর থেকে ৪ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার প্রিমিয়ামে ৩০ হাজার টন গ্যাস অয়েল এবং ২৯ দশমিক ৯৫ ডলার প্রিমিয়ামে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল আমদানির অনুমোদন পেয়েছে।
 
ফিলিপাইনের পিনক করপোরেশন থেকে প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন গ্যাস অয়েল, ৭ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলারে ১৫ হাজার মেট্রিক টন মোগ্যাস, ৩২ দশমিক ৯৫ ডলারে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পিটি ভুমি সিয়াক পুসাকো থেকে ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারে ৩০ হাজার টন গ্যাস অয়েল এবং ৩২ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলারে ৪০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হবে। এ খাতে সরকারের ব্যয় হবে ২৪৩ কোটি টাকা।

তুরস্কের টার্কিস পেট্রোলিয়াম ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারে ৩০ হাজার টন গ্যাস অয়েল আমদানি করা হচ্ছে। এ খাতে সরকারের ব্যয় হবে ১২৫ কোটি টাকা।
 
চীনের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর থেকে প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ৬ মার্কিন ডলারে ৬০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসওয়েল এবং ২৯ দশমিক ৯৫ ডলারে ৪০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গম আমদানির আরও ৫টি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫. ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।