ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২১ সালে রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
২০২১ সালে রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে

ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি ডলার) ছাড়াবে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, এটা আমার কথা নয় এটা মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস গ্লুম বার্নিকাটের কথা।



রোববার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সব মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে  মন্ত্রী এ দাবি করেন।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সব কিছু ঠিকঠাক চলছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ভালো হবে। আমি আশা করছি এডিপি বাস্তবায়নও ৯৫ ভাগ ছাড়াবে। দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রই ঠিকঠাক চলছে। মানুষ নানাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের উন্নয়নে।

গত বছরের প্রথম আট মাসের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার থেকে চলতি বছর প্রথম আট মাসের বাস্তবায়ন হার থেকে বেশি। কাজেই কীভাবে বলবো যে বর্তমান সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা দেশটাকে সামনের দিকে নিয়ে যাই। ৫০ বছর পরে আমরা অস্ট্রেলিয়ার উপরে থাকব। পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের সবাই সুফল পাবে।

এডিপি কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ৮৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি নিয়েছি। এবার বেশি এডিপি নেওয়া হয়েছে। তাই কিছু কমতে পারে।  

এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে সব ধরনের অপচয় রোধে দিক
নির্দেশনা দেন। আগামী অর্থবছর থেকে কী ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হবে সভায় তারও একটি স্পষ্ট রূপরেখা দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, অবাকাঠামো ছাড়াও শিক্ষা, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে সরকার। এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বেশি প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রকল্প গ্রহণে যে সময় লাগে তা কমিয়ে আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদনে সময় হ্রাস করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের সুষম বণ্টন আমাদের নিশ্চিত করতেই হবে। উপকূলীয় অঞ্চল, নদী ভাঙ্গন অঞ্চল, হাওড়-বাওড় এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজম, সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম, আইএমইডি সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হুমায়ূন খালিদ ও আরাস্তু খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।