ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিইও নিয়োগে অনিয়ম

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের জরিমানা

ঢাকা: মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগে আইন লঙ্ঘন করায় ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জরিমানা করেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
 
রোববার (১৫ মার্চ) আইডিআরএ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


 
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, বিমা আইন ২০১০ অনুযায়ী ‘বিমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা, ২০১২’ লঙ্ঘন করায় ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা করে মোট আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান ২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি বিমা অধিদপ্তর থেকে নিয়োগের অনুমোদন পান। নিয়োগপত্রে সাতদিনের মধ্যে সিইও ও কোম্পানির মধ্যকার চুক্তিপত্র অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তা পালনে ব্যর্থ হয়।   
 
পরবর্তীতে আইডিআরএ থেকে ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি ‘বিমা কোম্পানি (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা, ২০১২’ এর ৬ (২) ধারা অনুযায়ী সিইওকে অবশিষ্ট মেয়াদে বহাল রাখতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়।
 
এরপর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সিইও হিসেবে সৈয়দ শাহরিয়ার আহসানকে নিজ দায়িত্ব অব্যাহত রাখার অনুমতি চেয়ে আইডিআরএ’র কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু এ আবেদনে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালার ৬ (২) ধারা অনুযায়ী সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনের অবশিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। যা আইনের লঙ্ঘন।
 
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৮৫তম সভায় আইন লঙ্ঘন করে। সেখানে কোম্পানির সিইও হিসেবে সৈয়দ শাহরিয়ার আহসানকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনঃনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আইডিআরএ’র কাছে অনুমোদন চাওয়া হয় ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বরে। অর্থা‍ৎ পর্ষদের সিদ্ধান্ত হওয়ার নয় মাস পরে আইডিআরএ’র কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়।
 
আইনে বলা হয়েছে আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়া কেউ সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আর পর্ষদ সভায় সিইও নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আইডিআরএ’র কাছে লিখিতভাবে নিয়োগ অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে হবে।
 
সম্প্রতি এ লঙ্ঘনের বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদের সভাপতিত্বে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানিতে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
শুনানিতে কর্তৃপক্ষের সদস্য কুদ্দুস খান, জুবের আহমেদ খাঁন, সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা এবং মুরশিদ আলম ছিলেন। আর ইউনাইটেডের পক্ষে চেয়ারম্যান সৈয়দ আজিজ আহমদ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এম হাফিজউল্লাহ, এম এ আজিম এবং ড. ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
 
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বলেন, সাবেক বিমা অধিদপ্তর থেকে সিইও শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিলেও শর্ত পালন করা হয়নি। এছাড়া, ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি আইডিআরএ’র জারি করা প্রাজ্ঞাপনও লঙ্ঘন করা হয়েছে। এমনকি ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ অনুমোদন চেয়ে আবেদন করার নিয়ম থাকলেও কোম্পানি তা করেনি। প্রতিষ্ঠানটির এমন আইন লঙ্ঘন শেয়ার এবং পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষায় উদ্বেগজনক।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।