ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পায়রা বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে আগ্রহী ডেনিশ কোম্পানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫
পায়রা বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে আগ্রহী ডেনিশ কোম্পানি

ঢাকা: পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডেনমার্কের একটি কোম্পানি। একই সঙ্গে তারা চট্রগ্রামে ‘নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল’ নির্মাণেও অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।


 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষা‍ৎকালে ডেনমার্কের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী মগান্স জ্যানসেন এ আগ্রহের কথা জানান।
 
ডেনমার্কের কোম্পানি ‘এপি মোলার টার্মিনাল’ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে নিউ মুরিং টার্মিনাল এবং সরকারের সঙ্গে সরকার পদ্ধতিতে পায়রা বন্দরে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান ডেনমার্কের মন্ত্রী।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।

বৈঠকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্ট স্থাপনে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আরেকটি ডেনিস কোম্পানি ‘ভেসটাস’ এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি তুলে ধরেন ডেনমার্কের মন্ত্রী।

এ সময় ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় ডেনমার্কের নৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেনিস মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের উদ্যোগে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের ‘আরএমজি: বাংলাদেশ ফ্রেমিং দি ফিউচার’ সম্মেলনের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি কারখানার শ্রমিকদের, বিশেষ করে রেডিমেড পোশাক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনঃউল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ডেনমার্কের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।

এ সময় নতুন শ্রম আইন, ইপিজেডের অনুমোদন, জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যনীতি, ট্রেড ইউনিয়ন, তিনটি সংস্থার মাধ্যমে কারখানা নিরাপত্তা পরীক্ষা করা সহ শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

দু’দেশের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দু’দেশের সর্ম্পক আরো বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দুদেশের মধ্যে কৃষি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, অবকাঠামো নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তিসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার বিশাল সুযোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী দু‘দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সর্ম্পকে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দ্বিপাক্ষিক এ বাণিজ্য আরো বাড়ানোর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।