ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫
রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা ছবি: রাজীব/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারকদের গত তিন মাসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।

সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা) এর এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি মাহবুবুল হক বাবর।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আমদানিকৃত ৫৬৫৫ ইউনিট গাড়ির প্রায় সবক’টি অবিক্রিত অবস্থায় বন্দরে ও শো-রুমে পড়ে আছে। ২৪ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০৩১ ইউনিট এবং মংলা বন্দরে ৪৭৯৭ ইউনিটসহ মোট ৭৮২৮ ইউনিট খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে। এ পর্যন্ত মংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা গাড়ির বিপরীতে আমাদের ডেমারেজ চার্জ গুণতে হচ্ছে প্রায় ১ কোটি টাকা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্বাভাবিক কর্ম সময়ে দুটো বন্দর থেকে গাড়ি খালাস হয় ১০০ থেকে ১২০ ইউনিট। গড়ে প্রতিদিন শুল্ক পরিশোধ করা হয় ১ কোটি টাকা। গাড়ি খালাস ব্যাহত হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আটকে গেছে ১২’শ কোটি টাকা।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত তিন মাসে ৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কিভাবে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন তা জানা নেই। তবে ব্যাংক, বন্দর চার্জ এবং নিলাম খাতে সরকারের প্রণোদনা ছাড়া এই মুহ‍ূর্তে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব।

এ সময় রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ীরা কিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, আপদকালীন সময়ে স্বাভাবিক নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, তিন মাসের সুদ মওকুফ ও মেয়াদী ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি, খালাসের অপেক্ষায় আটকে পড়া গাড়ির ডেমারেজ চার্জ সম্পূর্ণ মওকুফ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি এম এ হামিদ শরীফ, সহ সভাপতি মো.শাহ সেলিম টিপু ও জাফর আহমেদ, ট্রেজারার আনিসুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন ভূইয়া রানু প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যের পর সভাপতি এম এ হামিদ বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে নৌ পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এখন অপেক্ষায় আছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০,২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।