ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশাল নৌরুটে আসছে ৭৬৪ আসন বিশিষ্ট দুটি জাহাজ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
বরিশাল নৌরুটে আসছে ৭৬৪ আসন বিশিষ্ট দুটি জাহাজ

ঢাকা: নদীপথে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি জাহাজের আসন থাকবে ৭৬৪টি।



বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে জাহাজ দুটি তৈরি করা হবে।

এতে মোট ব্যয় করা হবে ৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

১৯৭২ সালে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রুটটিতে যাত্রী পরিবহণের জন্য বর্তমানে ৬টি জাহাজ নিয়োজিত রয়েছে।

এর মধ্যে ৫টি জাহাজ অত্যন্ত পুরাতন হাওয়ায় জাহাজগুলোর মাধ্যমে নিরাপদ যাত্রী বহন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে ঢাকা-বরিশাল রুটে জাহাজ দুটি কেনা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি এপ্রিল ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ মেয়াদে জাহাজ দুটি নির্মাণ করবে।

এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (টেকনিক্যাল) জ্ঞান রঞ্জন শীল বাংলানিউজকে বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। কিন্তু এই রুটে আমাদের ৬টি যাত্রীবাহী জাহাজ রয়েছে তারমধ্যে ৫টির বেহাল অবস্থা ।

এ জাহাগুলোর মধ্যে কয়েকটির বয়স ১০০ থেকে ১৫০ বছর পযর্ন্ত হয়ে গেছে।

তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা-বরিশাল রুটে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ কিনব। দুটি জাহাজ দেশেই তৈরি করা হবে। প্রতিটি জাহাজে আসন থাকবে ৭৬৪টি।

তিনি আরও বলেন, দেশে বেসরকারি অনেক জাহাজ আছে কিন্তু সরকারি জাহাজ তেমন নেই। তাই আমরা সরকারি উদ্যোগে জাহাজ দুটি কিনব যাতে যাত্রীরা কম খরচে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে।

বর্তমানে এই রুটে যে ৬টি জাহাজ রয়েছে তার মধ্যে ৫টির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল অতিক্রম করায় এদের মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ খাতে অধিক ব্যয় হচ্ছে।

জাহাজগুলোর জ্বালানী খরচও তুলনামূলকভাবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ সময়েই ২ থেকে ৩টি জাহাজ মেরামতে থাকায় বিভিন্ন রুটে এই জাহাজগুলি সঠিক সময়ে চলাচল করতে পারছে না। প্রয়োজনীয় জাহাজগুলোর অভাবে ঢাকা-খুলনা রুটে রকেট সার্ভিসটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
এমআইএস/কেজেড  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।