ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংক চায় ওমেন চেম্বার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংক চায় ওমেন চেম্বার

ঢাকা: ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পৃথক ব্যাংকের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজ (বিডব্লিউসিসিআই)। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যে ভ্যাট কমিয়ে ৪ শতাংশ করার আহবান জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।


 
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 
সভায় ওমেন চেম্বারের সভাপতি সেলিমা আহমেদ বলেন,  নারী উদ্যোক্তারা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। ব্যবসা করতে গিয়ে মূসক, আয়কর দিয়ে দিন শেষে তাদের লাভের খাতা একেবারেই শূন্য থাকে। এ কারণে ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণও অনেক কম। নারীদের ব্যবসায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য থোক বরাদ্দ, আলাদা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও তাদের সব পণ্যে ভ্যাট কমানো দরকার।
 
তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে নারী উদ্যোক্তাদের শিল্প নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঘোষিত ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ আগামী বাজেটে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা দরকার।
 
সেলিমা আহমেদ আরও বলেন, নারীরা যে আয় করেন তা থেকে সরকারকে কর দিয়ে টিকে থাকা কষ্টকর। নারীদের  ব্যক্তিগত আয়কর সীমা ২ লাখ ৬০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার করা ও নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আয় ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা দরকার। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের সব পণ্যে ভ্যাট হার কমিয়ে ৪ শতাংশ করা ও মেশিনারী আমদানিতে কর মওকুফ করা দরকার।
 
তিনি বলেন, নারীদের জন্য দেশের সব জায়গায় ব্যবসা সহজ নয়। এজন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে নিবন্ধন ফ্রি ও ৫ লাখ টাকার পণ্য ফি ছাড়া প্রবেশের সুযোগ দেওয়া দরকার। তারা যে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন তার জন্য সব ব্যাংকে ১৫ শতাংশ এসএমই লোন নির্ধারণ করে দেওয়া দরকার। সব কমার্শিয়াল ব্যাংকে কমপক্ষে ৩ শতাংশ পল্লী ঋণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পৃথক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও সুদের হার ১০ শতাংশের কম নির্ধারণ করা দরকার।
 
ওমেন চেম্বার সভাপতি বলেন, নারী উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে অনেক সময় কাস্টমসে হয়রানির শিকার হন। প্রাক শিপমেন্টে পড়তে হয় অতিরিক্ত ঝামেলায়। নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে অতিরিক্ত সুবিধা দিতে হবে। সেই সঙ্গে আলু ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা দিতে হবে।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে ওমেন চেম্বারের সহ-সভাপতি সেলিনা কাদের, ইন্দোবাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর বিন আলম, এনবিআরের বিভিন্ন অণু বিভাগের সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং ওমেন চেম্বারের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
এডিএ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।