ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাগুরা পৌরসভার ৬১ কোটি টাকার বাজেট পেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
মাগুরা পৌরসভার ৬১ কোটি টাকার বাজেট পেশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা: মাগুরা পৌরসভার ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের ৬১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরভবনের তৃতীয় তলার মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।



তবে, ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর কর্মচারীরা বাজেট অধিবেশন প্রত্যাখ্যান করেছেন। এছাড়া লিখিত বাজেটে গত বছরের কোনো হিসাব ও আগামী বছরের উন্নয়ন কাজের কোনো প্রকার দিকনির্দেশনা ছিল না।

দুপুর ১২টায় পৌর মেয়র ইকবাল আকতার খান কাফুর ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে তিনি সর্বমোট ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা সম্ভাব্য আয় হিসেবে দেখিয়েছেন।

এর মধ্যে মোট রাজস্ব ব্যয় ১৫ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার, রাজস্ব খাতে উন্নয়ন ব্যয় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার, উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী হিসেবে ব্যয় ৩ কোটি ও মোট প্রকল্প ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া সার্বিক বাজেট উদ্বৃত্ত হিসেবে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এ সময় পৌর কাউন্সিলর ও কয়েকজন কর্মকর্তা বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে. ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর কর্মচারীরা এ বাজেট অধিবেশন প্রত্যাখ্যান করেন। তারা নিচতলায় হলরুমে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এছাড়া এবারের বাজেট অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথিরা অধিকাংশই উপস্থিত না হওয়ায় পৌর নাগরিকরা এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

পৌরসভার বাসিন্দা মো. বাকি ইমাম বাংলানিউজকে জানান- মাগুরা পৌরসভা অদক্ষতার দুষ্টুচক্রে পড়েছে। এ পৌর পরিষদ কোনো প্রকার নাগরিক সেবা না দিয়েই ট্যাক্স আদায় করতে চায়। ফলে নাগরিকরা সঠিকভাবে ট্যাক্স প্রদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।

আর পৌর কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে তাদের কাজ ফেলে মিছিল সমাবেশে ব্যস্ত। এ পৌর পরিষদ যতই চেষ্টা করুক কাগজে কলমে দেওয়া এ বাজেট তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না বলেই আমার বিশ্বাস।

পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- বাজেট একটি পৌরসভার উন্নয়নের অন্যতম সোপান হিসেবে চিহ্নিত হলেও মাগুরা পৌরসভার বাজেটে কোনো ধরনের স্বচ্ছ দিক নির্দেশনা নেই। ফলে, সাধারণ মানুষ এ বাজেট থেকে তেমন কোনো সুফলই পাবেন না। তিনি বলেন পৌর কর্মচারীদের পেটে ক্ষুধা রেখে কোনো প্রকার উন্নয়নই সম্ভব নয়।

এ সময় পৌরসভার কয়েকজন ঠিকাদার দীর্ঘদিন তাদের বকেয়া বিল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকার কোন স্বচ্ছ হিসাবই নতুন বাজেটে তুলে ধরা হয়নি বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
পিসি


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।