ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্রেতা আকৃষ্ট করছে রংপুরের হাতে তৈরি চটি স্যান্ডেল

সাজ্জাদ বাপ্পী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৫
ক্রেতা আকৃষ্ট করছে রংপুরের হাতে তৈরি চটি স্যান্ডেল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর: পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রংপুরে হাতে তৈরি চামড়ার চটি স্যান্ডেল। দামে কম ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে খুব সহজেই।



মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) ‍রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

ঈদকে সামনে রেখে চটি স্যান্ডেলের দোকানে ক্রেতাদের রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। দোকানে ভিড় করছেন ছেলে থেকে বুড়ো সব বয়সের মানুষ।

আর এদিকে ঈদ মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নগরী বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে স্যান্ডেল তৈরির অনেক কারখানা। এ পেশার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন অনেকে।

স্থানীয় বাজার থেকে চামড়া, চামড়ার আস্তর, ফাইবার, ইনসোল, রেক্সিন, প্রাইম সোল ও আঠার সমন্বয়ে  স্যান্ডেল তৈরি করছেন নগরীর মুচি সম্প্রদায়ের লোকজন।

দৈনিক ১২ থেকে ১৫ জোড়া স্যান্ডেল তৈরি করতে পারেন বলে বাংলানিউজকে বলেন কারিগর রাজন দাশ, বাবু, সঞ্জয় দাশ, স্বপন দাশ।

তারা বলেন, প্রতি ডজন স্যান্ডেল তৈরিতে মজুরি বাদে খরচ পড়ে ৩ হাজার টাকা। পাইকারি বিক্রি হয় ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রতি জোড়া স্যান্ডেলের খুচরা মূল্য ডিজাইন ভেদে ৩শ’ ৫০ টাকা থেকে ৪শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত।

নগরীর জুম্মাপাড়া, দর্শনা, বাহার কাছনা, টিকাদার পাড়া, কামাল কাছনাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে স্যান্ডেল।

এসকল এরাকার কারখানা মালিকেরা দৈনিক ২’শ  থেকে ২৫০ জোড়া স্যান্ডেল উৎপাদন করেন।

কারাখানার মালিকরা জানান,  রমজানের আগে থেকেই তারা স্যান্ডেল তৈরি করছেন।
স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে আশে পাশের জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে আমাদের হাতে তৈরি স্যান্ডল।

ব্যবসায়ী লেলিন বাংলানিউজিকে জানান, তার পলাশবাড়ী কারখানায় বিভিন্ন উপজেলার পাইকাররা এসে তৈরি স্যান্ডেল কিনছেন এবং অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন।

স্যান্ডেল তৈরির কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকে না কিনে সরাসরি মোকাম থেকে কিনতে পারলে বেশি লাভ হতো বলেও জানান লেলিন। তাছাড়া তৈরি প্রক্রিয়ায় মেশিনের সহযোগিতা পেলে ব্যবসা আরও বাড়ানো যেত বলে তাদের ধারণা ।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা ব্যাংক ঋণ পেলে এই শিল্পকে বড় পরিসের নেওয়া যাবে বলে মনে করেন অনেক ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
বিএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।