ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গত বছরের তুলনায় স্থিতিশীল মসলার বাজার

তাবারুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
গত বছরের তুলনায় স্থিতিশীল মসলার বাজার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে গত বছর মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়লেও এবার তেমন প্রভাব পড়েনি। যদিও খুচরা বাজারে তুলনামূলকভাবে কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।



মসলার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে দু’-একটি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো মসলার দাম বাড়েনি। এমনকি গত বছরের ঈদুল আজহার চেয়ে এবার বিভিন্ন মসলার দাম বরং কম বলে তাদের দাবি।
 
অন্যদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ, তারা কোনো বাজারেই মসলার দাম কমে পাননি। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ানো হয়েছে।
 
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরেজমিনে মসলার দাম সম্পর্কে জানা যায়, এলাচ, দারুচিনি, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, মরিচ, ধনিয়া, হলুদসহ প্রয়োজনীয় মসলার দাম গত কয়েক মাস ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কালোজিরার দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।
 
মসলার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি আদা পাইকারি বাজারে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, আর খুচরা বাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। পাইকারি প্রতি কেজি জিরার দাম মানভেদে ৩৩০ থেকে ৩৮০ টাকা ও খুচরা বাজারে তা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।
 
পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি এলাচ ১২০০ (ছোট) থেকে ১৫০০ (বড়) টাকা ও খুচরা বাজারে ১৩২০ থেকে ১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি পাইকারি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, খুচরায় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, লবঙ্গ প্রতি কেজি পাইকারি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা ও খুচরা ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকায় এবং তেজপাতা প্রতি কেজি পাইকারি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও খুচরা ১৫০ টাকা।
 
এছাড়া পেঁয়াজের দাম গত কয়েক দিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে মানভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর খুচরা বাজারে মানভেদে তা ৬০ থেকে ৭৫ টাকা, রসুন পাইকারি ৬০ থেকে ১০০ টাকা ও খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
 
শুকনা গুঁড়া মরিচ প্রতি কেজি পাইকারি দাম ১৬০ টাকা ও আস্ত ১২০ টাকা, খুচরা বাজারে তা যথাক্রমে ১৮০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিচের মতো হলুদের দামও একই অবস্থায় রয়েছে। তবে ধনিয়া প্রতি কেজি পাইকারি মানভেদে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও খুচরা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
এছাড়া প্রতি কেজি কাঠবাদাম ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা, আলু বোখরা ৫০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১১০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বিক্রেতারা জানান, প্রতি পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের কয়েকটি ব্র্যান্ডের মধ্যে দামের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। এর মধ্যে রূপচাঁদা ও তীর মার্কা ৪৬৫ টাকা ও পুষ্টি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসিআই রাইস ব্র্যান্ড প্রতি পাঁচ লিটার বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়।
 
কারওয়ান বাজারের যমুনা স্টোরের পাইকারি বিক্রেতা মো. সিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক মাসে গরম মসলার দাম বাড়েনি। বরং কিছু মসলার দাম কমেছে তবে সেটি সামান্য। এখন আবার আগের জায়গায় চলে গেছে।
 
তিনি বলেন, মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, কিন্তু পোলাও চাল, চিনি ও মশুর ডালের দাম বেড়েছে।

ঈদের আর কয়েকদিন বাকি, এর মধ্যে মসলার দাম বাড়ার আর কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন তিনি।
 
মালিবাগ বাজারে ক্রেতা সাফায়েত উল্লাহ বলেন, বেশ কিছু মসলার দাম ঈদ উপলক্ষে কিছুটা বেড়েছে। ফুটপাতেও মসলাজাতীয় পণ্যের দোকানপাট বসেছে। হয়তো প্রতিযোগিতার কারণে তত বেশি দাম বাড়েনি।
 
এদিকে, বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও কারওয়ান বাজারের ‘ফরিদপুর বানিয়াতি ভান্ডারের’ মালিক হাকিম মীর মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম বাড়েনি। বরং গত রোজার ঈদের চেয়ে কিছু কিছু মসলার দাম আরও কমেছে।
 
তিনি বলেন, গত কোরবানির ঈদে এলাচের প্রতি কেজি ছিল ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা। কিন্তু এবার এলাচের দাম প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে আর কোনো মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
টিএইচ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।