ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জিডিপি ৬ থেকে ১০-এ উন্নীত করার স্বপ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
জিডিপি ৬ থেকে ১০-এ উন্নীত করার স্বপ্ন ছবি: বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে, এর মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ থেকে ১০-এ উন্নীত করার স্বপ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার এমডি আল আমিন।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টম্বর) বিকেলে নগরীর রিকাবিবাজারে মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



তিনি বলেন, দেশ উন্নত করতে হলে অভ্যন্তরীণ আয়, রাজস্ব খাতে আয় বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে সবাইকে কর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে দেড় হাজার কোটি এবং মঙ্গলবার মেলার রাজস্ব আয় ২ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে রাজস্ব বিভাগ কর প্রদানে জনবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে বলে। দেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের কোটায় পৌঁছাবে। আমাদের অনেকগুলো স্বপ্ন আছে। এরমধ্যে জিডিপি ৬ থেকে ১০-এ নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে বিশ্বের দরবারে দাঁড়িয়ে কথা বলেন উল্লেখ করে তিনি মত দেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে।

সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি আফজাল রশিদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক (অর্থ) ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।

যুগ্ম কর কমিশনার জাকির হোসাইনের পরিচালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কর কমিশনার তোহিদুল ইসলাম, উপ-কর কমিশনার শান্ত কুমার সিংহ, সহকারী কর কমিশনার কাজল কুমার সিংহ, আইয়ুব আলী, অমিত কুমার দাশ, বিধান দেবনাথ প্রমুখ।

‘সুখি স্বদেশ গড়তে ভাই, আয়করের বিকল্প নাই’ এই স্লোগানে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নগরীর রিকাবিবাজারের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে আয়কর মেলা শুরু হয়। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা সমাপ্তি ঘটলো।

সাতদিনের এই মেলায় ২০টি বুথ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একটি অভ্যর্থনা কক্ষছাড়াও ৩টি ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথ, ১টি তথ্য কেন্দ্র, জনতা ও সোনালী ব্যাংকের একটি করে বুথ এবং রিটার্ন গ্রহণ বুথ ছিল ৮টি। পাশাপাশি একটি মেডিকেল ও নারী জন্য রিটার্ন গ্রহণের পৃথক বুথ সুবিধা রাখা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এনইউ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।