ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপনে ১৫শ’ কোটি টাকা অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপনে ১৫শ’ কোটি টাকা অনুমোদন

ঢাকা: সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ডাটা (তথ্য) সেন্টার স্থাপনে ১৫শ’ কোটি টাকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।



সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনপ্রশাসনে আইসিটি সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতেই এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চীনা প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশনের সঙ্গে ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সাত একর জমির ওপর ডাটা সেন্টারটি স্থাপন করা হবে।
 
জনপ্রশাসনে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজের দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সেবার মান বাড়ানোর জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টারের প্রয়োজন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ভূমি মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ডিজিটালাইজেশনের জন্য ডাটা সেন্টারের সেবার চাহিদা রয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে মূল অর্থায়ন করবে চীন। সরকারের তহবিল থেকে ৩১৬ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এতে বলা হয়, এরই মধ্যে চীনের জেডটিই করপোরেশনের সঙ্গে কম্পিউটার কাউন্সিলের বাণিজ্যিক চুক্তি হয়ে গেছে। মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পের  অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প শুরু চলতি বছরের জুলাইয়ে এবং ২০১৮ সালের জুন মাসে শেষ হবে।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সকল কাযর্ক্রম পেপার লেস হয়ে যাবে। ফাইল টানাটানির দিন শেষ হয়ে যাবে। আমাদের ডাটার চাহিদা অনেক কিন্তু সেই অনুযায়ী পাচ্ছি না। প্রকল্পের মাধ্যমে ডাটার চাহিদা পূরণ করা হবে। দেশ আরও ডিজিটাল হয়ে যাবে। ’
 
এটিসহ সভায় মোট চারটি প্রকল্পের জন্য মোট ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে ১ হাজার ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ৩৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

অন্য তিনটি প্রকল্প হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদী পুনঃখনন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এর মোট ব্যয় ১৫৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এছাড়া ৮৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন হতে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ রক্ষার্থে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

‘বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবসহন’ প্রকল্প সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেয় একনেক সভা। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছিল ৫২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ডাব্লিউএফপি’র প্রকল্প সাহায্য ছিল ৫০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে থেকে ৩২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে নিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডাব্লিউএফপি)।

এতে করে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৭১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডাব্লিউএফপ ‘র প্রকল্প সাহায্য থাকছে মাত্র ১৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
এমআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।