ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কৃষি সুরক্ষায় যা সাধ্য তা করবো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
‘কৃষি সুরক্ষায় যা সাধ্য তা করবো’ ছবি: জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কৃষি ও কৃষকের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমার যা সাধ্য তা-ই করবো।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।



‘গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয় ও ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও)।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফএও’র প্রতিনিধি মাইক রবসন প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর সামছুদ্দিন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৯০ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী সরকার) যাত্রা করে একটা পর্যায়ে নিয়ে দাঁড় করিয়েছি। ২০০৮ সালে ‘টাকা আছে খাবার নাই’ চিত্র ছিল। শেখ হাসিনার দক্ষ ব্যবস্থাপনা, মমত্ববোধ, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার জন্য আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন একটু হাত নাড়লেই খাদ্যের অভাব হয় না, ব্যবস্থা হয়। এ অর্জনের মূল কারিগর কৃষক। আমরা যেন তাদের মনে রাখি।

তিনি বলেন, ‘কৃষি ও কৃষকের সুরক্ষায় আমার যা সাধ্য তা-ই করবো। ’

বিএনপির তিন মাসের আন্দোলনের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা ভেবেছিলেন, ‘ওলটপালট করে দে মা, লুটেপুটে খাই’র অবস্থা করবে। মানুষের পেটে খাদ্য ছিল। আমরা সুরক্ষা দিয়েছি তাদের (মানুষ)। এজন্য মানুষ সেটা  করতে দেয়নি।

সেমিনারের বিশেষ অতিথি মুস্তফা কামাল বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সারাবিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আর বাংলাদেশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের মাধ্যমে তার অনেক আগেই দারিদ্র্যমুক্ত হবে। তখন দূরবীণ দিয়েও বাংলাদেশে গরিব মানুষ পাওয়া যাবে না।

কৃষির উৎপত্তি ও আধুনিকায়নের চিত্র তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মোঘলরা কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এরপর ব্রিটিশদের আমলে এটা ব্যাপকতা পায়। এখন এটা আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে। আমিও কিছু টাকা কৃষি জমি থেকে পাই। এভাবে আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এদিকে, বিশ্ব খাদ্য দিবসকে স্বাগত জানিয়ে সকালে ৠালি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। ৠালিটি খামার বাড়ি মোড় থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এসইউজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।