ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলোচনা করেই ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার ধার্য করা হবে : গভর্নর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১০
আলোচনা করেই ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার ধার্য করা হবে : গভর্নর

ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ঋণদাতা ও গ্রহীতা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। একইসঙ্গে সুদের হারের ওপর চাপ কমিয়ে আনার জন্যে তিনি ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শর্তের বাহুল্য ও পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে স্বচ্ছভাবে তহবিল পরিচালনার আহবান জানান।



বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) আয়োজিত ‘ক্ষুদ্রঋণের কার্যকর সার্ভিস চার্জ/ সুদের হার নির্ধারণ’ সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন।

‘ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার প্রতিযোগিতামূলক হওয়া উচিত’ উল্লেখ করে গভর্নর ও এমআরএ চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান বলেন, সুদের হার যাতে কম হয় সেটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। যারা স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছেন তারা কীভাবে সেটা পারছেন অন্যদেরও সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার বেঁধে দেবে।

ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের উৎস ও ব্যয়ের হালনাগাদ হিসাব তাদের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মতো এদের কার্যক্রমও নিবিড়  পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হবে।

কর্মশালায় ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমআরএ’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান  খন্দকার মাজহারুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা: এম এ বাকী খলীলী।

সভাপতির বক্তৃতায় পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ বলেন, দেশে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এত বেশি বেড়ে গেছে যে এগুলোকে এখন এক কাতারে নিয়ে আসা খুবই কঠিন।   তবে খাতটিকে টেকসই করে বিশৃংখলা এড়াতে অবশ্যই এক কাতারে নিয়ে আসতে হবে।

সুদের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘বাস্তব পরিস্থিতি’কে বিবেচনায় নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. খলিকুজ্জমান আরও বলেন, শুধু মুনাফার কথা ভাবলেই হবে না, দারিদ্র বিমোচনের বিষয়টিই আগে ভাবতে হবে। একজন ঋণগ্রহীতা কতোদিন ঋণগ্রহীতা থাকবেন, তাদের পরিবার ও সন্তানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য অধিকার অর্জিত হচ্ছে কিনা এসব নিয়েও ভাবতে হবে।


বাংলাদেশ সময় : ১৮৩০ ঘণ্টা, ০৪ আগস্ট , ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।