ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গৌরব হারাচ্ছে অবকাশযাপন কেন্দ্র নে টং, চুক্তি মানছে না ইজাদার

ইশতিয়াক হুসাইন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১০
গৌরব হারাচ্ছে অবকাশযাপন কেন্দ্র নে টং, চুক্তি মানছে না ইজাদার

ঢাকা: টেকনাফে পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ‘নে টং’ চালাতে চুক্তি মানছে না ইজারাদার প্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। ফলে এক পাশে নাফ নদী আরেক পাশে পাহাড় ঘেরা মনোরম এ অবকাশযাপন কেন্দ্রটি ধীরে ধীরে এর অতীত গৌরব হারাচ্ছে।



গত ৩১ জুলাই পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যানকে এ অভিযোগ লিখিতভাবে জানিয়েছেন এর টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক আবু তাহের।

চিঠিতে তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত নে টং ভবনের কোনো মেরামত করেনি ইজারাদার প্রতিষ্ঠান। রক্ষণাবেক্ষণেও তারা সীমাহীন অবহেলা দেখাচ্ছে।

নেটংয়ের ডিপ ফ্রিজ দু’টিও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। সাইনবোর্ড সেই যে কবে ভেঙ্গেছে, তা সারাবারও খেয়াল নেই ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের। ভেঙে পড়া দেওয়াল ভাঙাই থেকে যাচ্ছে।

পর্যটনের দেওয়া ফার্নিচারগুলো অতি ব্যবহারে জীর্ণ। কোনো প্রকার রং বা বার্নিসের বালাই নেই। সেবার মানও পড়ে গেছে বেশ খানিকটা। অথচ অতিথিরা মানসম্পন্ন সেবা না পেয়ে দুষছে পর্যটন করপোরেশনকে।

এতে করপোরেশনের সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন।
 
এ ব্যাপারে পর্যটনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পরিচালক (অর্থ) জামাল আবদুন নাসের বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি কে বলেন, ‘যাদেরকে ইজারা দেওয়া হয়েছে তারা মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না। এরা উল্টো পর্যটনের সুনাম ক্ষুণœ করছে। ’

শুধু এখানেই শর্ত ভঙ্গ করেনি ইজারাদার নর্থ সাউথ প্রপার্টিজ। চুক্তি অনুযায়ী নে টংয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন টিএ/ডিএ, সার্ভিস চার্জ, পোশাক কিংবা বাড়তি মুজরি দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা কিছুই দিচ্ছে না।

এমনকি জমির খাজনা, মূসক পরিশোধ করছে না তারা, অভিযোগ পর্যটন কর্মকর্তাদের।

পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ২০০৭-’০৮ অর্থবছরে নে টংকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বছরে ১৩ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট নে টংকে ১৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় নর্থ সাউদ প্রপার্টিজ।

অথচ ২০০৫-’০৬ অর্থ বছরে পর্যটন করপোরেশনের আওতায় নে টং তিন লাখ টাকা লাভ করেছিল। এর পরের বছরে লাভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ টাকায়। কিন্তু তার পরের বছর নে টং লোকসান গুণলে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তড়িঘড়ি করে একে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে জামাল আবদুন নাসের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সবখানেই লোকসান হয়েছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে লোকসান হলেই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া কার্যকর সমাধান নয়। বরং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনাই আসল ব্যাপার। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নে টংয়ের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা সম্ভব হলে পর্যটন করপোরেশনই এখান থেকে লিজের দ্বিগুণ লাভ করতে পারত। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।