ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অলিম্পিয়ার সব পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
অলিম্পিয়ার সব পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড় ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপো ফর বিল্ডিং অ্যান্ড সেফটি প্রদর্শনী উপলক্ষে আগুন নেভানোর সব সরঞ্জামে ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে অলিম্পিয়া কমপ্লেক্স।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অলিম্পিয়া কমপ্লেক্সের স্টলে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আরিফুল রহমান মিতুল।



ভবন বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আগুন নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় কলাকৌশল, যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির সমাহার নিয়ে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মানের এই প্রদর্শনী শুরু হয় সোমবার (০৭ ডিসেম্বর)।

অলিম্পিয়া কমপ্লেক্সের মালিক ওয়াহিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পণ্য সম্পর্কে মানুষকে জানানোই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস সম্পর্কে বহির্বিশ্বে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এ ধরনের প্রদর্শনী তাদের সেই নেতিবাচক ধারণা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটিও আমাদের স্টল দেওয়ার আরেকটি কারণ।

এছাড়া মেলা বা প্রদর্শনীর মাধ্যমে গ্রাহক ও দর্শনার্থীরা একসঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্য দেখার সুযোগ পান। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা এক প্রতিষ্ঠানের পণ্যের সঙ্গে অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারেন- বলেন ওয়াহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমে অনেক সময় ধুলা-বালি যাওয়ার কারণে ভুল সংকেত দেয়। কিন্তু আমাদের পণ্যে এ ধরনের কোনো ভুল সংকেত দেয় না। আমাদের পণ্য যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এবারের প্রদর্শনীতে গতবারের তুলনায় বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু অর্ডার পাওয়া গেছে। সামনে এর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।

প্রতিষ্ঠানটির পণ্য সম্পর্কে বাংলানিউজকে তথ্য দেন ম্যানেজার মিতুল। তিনি জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম স্থাপন করতে গ্রাহককে খরচ করতে হবে ২০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

এই ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম একটি প্যানেল বোর্ডের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। এর সঙ্গে বিভিন্ন ফ্লোরে স্মোক ডিটেক্টর, হিট ডিটেক্টর সংযোগ দেওয়া হয়। যা আগুন লাগা অথবা ধোঁয়া দেখার সঙ্গে সঙ্গে সংকেত দেয়- বলেন মিতুল।

তিনি জানান, একটি প্যানেল দিয়ে ২০টি ডিভাইস চালু করা যায়। একটি ডিভাইস থেকে অন্য একটি ডিভাইস স্থাপন করা হয় ২০ ফুট দূরে।

মিতুল বলেন, প্রদর্শনী উপলক্ষে ৫শ’ জিপিএম, ৮০ মিটার হেড এবং ইউএল লিস্টেড ডিজেল পাম্প আনা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই ফায়ার পাম্পের দাম ১৮ লাখ টাকা।

এছাড়াও অলিম্পিয়া কমপ্লেক্সের স্টলে রয়েছে, মালয়েশিয়ার কুলিং কোম্পানির ফায়ার হাইটেড সিস্টেম, যা পাম্পের সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে। এর সঙ্গে হোস পাইপ, প্লার হাইটেড, ফায়ার ব্রিগেড কানেকশন ও বাজেল সংযোগ দেওয়া হয়। এটি স্থাপন করতে ২০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা খরচ হবে।

মিতুল জানান, তাদের রয়েছে অটোমেটিক ফায়ার এক্সটিংগুইশার। এই যন্ত্রের সঙ্গে এক ধরনের সেন্সর লাগানো থাকে। যা কোথাও আগুন লাগলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রাই পাউডার বের করে আগুন নেভায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এএসএস/এমজেএফ

** অটোমেটিক স্পিংলার হেড ফেটে আগুন নেভাবে পানি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।