ঢাকা, সোমবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩০ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে পায়রা সমুদ্রবন্দর

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
৩০ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে পায়রা সমুদ্রবন্দর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর, বুধবার থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা’র কার্যক্রম। ইতোমধ্যেই বন্দরের অধিকাংশ অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব রেজাউল কবির।


 
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রেজাউল কবির বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন।
 
এদিকে সূত্র জানিয়েছেন, পায়রা বন্দরে কাস্টমস সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে দূরবর্তী মংলা কাস্টমস হাউসের প্রয়োজনীয় জনবলসহ সক্ষমতা নেই। ফলে খুলনার আওতাধীন পটুয়াখালী বিভাগের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পাদনের জন্যে বলা হয়েছে।
 
এছাড়াও বন্দরে নামানো পণ্যের কাস্টোডিয়ান হিসেবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিতে হবে।
 
শুল্কায়ন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে ASYCUDA World সফটওয়্যার স্থাপন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের টেকনিক্যাল টিম। এর অাগ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিল অব এন্ট্রি গ্রহণ ও শুল্কায়ন চলবে।
patuakhali_payra_port_04
মংলা বা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার এজেন্টদের পায়রা বন্দর ব্যাবহারের জন্যে খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে রেফারেন্স লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।   
 
বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক ও রাজস্ব আদায়ের জন্যে নিকটবর্তী সোনালী ব্যাংকের শাখায় ট্রেজারি চালান জমা দিতে হবে।
 
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে অবস্থিত পায়রা বন্দর দেশের তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম সামুদ্রিক বন্দর। অবস্থানগত কারণে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে ভিত্তিফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এ বন্দরের উদ্বোধন করেন।
 
‘পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুবিধাদির উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলছে।

এর আগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিকরুর রেজা খানম বাংলানিউজকে বলেন, এটি বাংলাদেশের ‍অনেক সম্ভাবনাময় একটি বন্দর। পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হলে বন্দরের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। তাই প্রকল্পের মাধ্যমে এটিকে অত্যাধুনিক করা হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পায়রা বন্দর সিঙ্গাপুরের মতোই উন্নত হবে। এখন দেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য সিঙ্গাপুর ঘুরে করতে হচ্ছে। পায়রা বন্দর আধুনিক হলে তা অনেকাংশে কমে যাবে। অনেক আন্তর্জাতিক পণ্যবাহী জাহাজ পায়রা বন্দরে নোঙ্গর করবে। আমাদের দেশের ‍উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ১৪ , ২০১৫
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।