ঢাকা: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করলেন ব্যবসায়ী নেতারা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা ও সরবরারে পরিমাণ সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অজ্ঞতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, ক্রেতা সিন্ডিকেশন, সংবাদপত্রে অপপ্রচার, পণ্য পরিবহণে দালালদের দৌরাত্ম, পাইকারি-খুচরা বাজারের মধ্যে সমন্বয় না থাকা, সরকারের মনিটরিং টিম কার্যকর না থাকাসহ অর্ধ ডজন কারণকে দায়ী করেন।
শনিবার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা এবং পণ্যের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক ও বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।
এসময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আসন্ন রমজানে যেকোনভাবে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার আশ্বাস দেন।
তিনি রমজানে সেক্টর ভিত্তিক সমিতিগুলোকে নিজ নিজ দায়িত্বে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতরা পণ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ক্যাশ মেমো ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পণ্য খালাসের সুবিধার্থে সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর সমূহে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিনের পরিবর্তে একদিন করার প্রস্তাব করা হয়।
ডিসিসিআই এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান এফসিএ, হোসেন এ শিকদার, এম বশির উল্লাহ ভূঁইয়া, টি আই এম নূরুল কবীর, মাহবুব আনাম, আলহাজ্ব মো: নাসিরউদ্দিন খাঁন, এম. আনওয়ারুল হক, আসিফ ইব্রাহিম, নাসির হোসেন এবং ডিসিসিআই প্রটেকশন অব কনজুমার রাইটস, অ্যাসেনশিয়াল, কমোডিটিস অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির আহবায়ক শোয়েব চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ২০৫৬ ঘন্টা, আগস্ট ৭, ২০১০।